কয়েকদিন আগেই মাতৃবিয়োগ ঘটেছে রাজ্যের শিল্প মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। তারপর থেকে শোকের ছায়া নাকতলার চাটুজ্জে পরিবারে। মাতৃবিয়োগের পর থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করার জন্য প্রায় দিনই কোন না কোন আত্মীয়-স্বজন হাজির হচ্ছে তার বাড়িতে। তৃণমূল পার্টির বাইরেও রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, শোভন চ্যাটার্জি, রাজ্যপাল জাগদীপ ধনকড় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে তার বাড়িতে গিয়ে দেখা করে আসেন।
রীতি অনুযায়ী সকলেই ফল এবং মিষ্টি নিয়ে যাচ্ছেন পার্থর বাড়িতে আর আত্মীয়-স্বজনের এই ফল আনার কারণে বর্তমানে অনেক ফল জমা হয়ে গিয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে। শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় শরীর বেশ ভারী হলেও তিনি কিন্তু খুবই কম পরিমাণ আহার করেন। তাই এত ফলতো আর পার্থ বাবু এবং তার পরিবার খেতে পারবেন না তাই ফলগুলি বাড়িতে থাকলে নষ্ট হয়ে যাবে। আর সে কারণে বাড়িতে জমা হওয়া ফল বিভিন্ন হাসপাতালে এবং বাঁশদ্রণীর একটি অনাথ আশ্রম পাঠিয়ে দিচ্ছেন পার্থবাবু।
বর্তমানে করোনা পরিস্থিতিতে হাসপাতালগুলিতে অনেক রোগী রয়েছে প্রত্যেকেরই পুষ্টির জন্য এবং দ্রুত সেরে ওঠার জন্য ফল খাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেই কারণে হাসপাতালগুলিতে অসুস্থ রোগীদের সাহায্য করতে সমস্ত ফল পাঠিয়ে দিচ্ছেন। এছাড়াও অনাথ আশ্রমের ছেলেরা খুব একটা ফল খেতে পান না তাই তাদের জন্যও বাড়ির ফল পাঠিয়ে দিয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।