সরকার প্রধান হিসেবে, একজন প্রধানমন্ত্রী যিনি সরকার ও দেশের কার্যক্রম পরিচালনা করেন, তার নিরাপত্তা দেখা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ। এইজন্য দেশের প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা বরাবরই জোরদার করা হয়। যাকে বলে, নিরাপত্তার বজ্রআঁটুনিতে মুড়ে ফেলা থাকে। আপনি যদি কখনো ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীকে কোনো পাবলিক ইভেন্টে যোগ দিতে দেখে থাকেন, তাহলে তাঁর চারপাশে অত্যন্ত কড়া নিরাপত্তার আবরণ লক্ষ্য করে থাকবেন।
‘স্পেশাল প্রোটেকশন গ্রুপ’ (এসপিজি) নিরাপত্তা পান আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী। যে কোনও হামলার ঘটনা এড়াতে এই বিশেষ নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা। এমতাবস্থায় আপনারা হয়তো লক্ষ্য করে থাকবেন যে, প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে যে এসপিজি কমান্ডোরা থাকেন, তাঁদের মধ্যে কারো কারো হাতে একটি কালো রঙয়ের ব্রিফকেস থাকে।
এখন এই ব্রিফকেসের মধ্যে কী থাকে তা নিয়ে জল্পনার শেষ নেই। কেউ কেউ বলে, এই ব্রিফকেসেই রয়েছে রয়েছে পরমাণু বোমার ট্রিগার। রিমোট মারফত যেখান থেকে খুশি পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়তে পারেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। এইমুহুর্তে এরকম একাধিক প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে বাজারে। এখন সত্যিই কি এমন কিছু আছে এতে? চলুন জেনে নিই বিস্তারিত।
তবে জানিয়ে রাখি ব্যাপারটি এরকম কিছুই নয়। SPG-এর হাতে যে ব্রিফকেসটি থাকে এটি একটি বহনযোগ্য বুলেটপ্রুফ শিল্ড। আকারে একটি ব্রিফকেসের মতো দেখতে হলেও খুলে ফেললে একজন পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তিকে ‘লেভেল থ্রি’ মানের নিরাপত্তা দিতে পারে ওই বুলেটপ্রুফ ভেস্ট। এখন হঠাৎ করে কেউ যদি প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করে তাহলে নিরাপত্তা রক্ষীরা অবিলম্বে এটি খুলে প্রধানমন্ত্রীকে ঢেকে দেবেন।
প্রসঙ্গত, এই ব্যালিস্টিক শিল্ড যেকোনো ধরনের আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে সক্ষম। ব্রিফকেসের একটি বিশেষ অংশ ধরে নিচের দিকে টেনে দিলে খুব সহজেই খুলে যায় এই ব্রিফকেস। এছাড়া একটি গোপন পকেটও রয়েছে যাতে নিরাপত্তার খাতিরে একটি বন্দুকও রাখা থাকে। বলে রাখি যে, এই সিকিউরিটি ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ডঃ মনমোহন সিংয়ের কাছেও থাকত।
বর্তমানে এই নিরাপত্তা পান আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। উল্লেখ্য, এসপিজি সুরক্ষা বেশ কয়েকটি স্তরের হয়। এসপিজি-র ২৪ জন কমান্ডার প্রধানমন্ত্রীর সুরক্ষায় থাকেন। তাঁদের কাছে এফএনএফ-২০০০ অ্যাসল্ট রাইফেল,সেমি অটোমেটিক পিস্তল এবং অত্যাধুনিক আরও অস্ত্র থাকে। পাশাপাশি পিএম এর সঙ্গে আরও ২টি আর্মড গাড়ি থাকে। ৯ হাইপ্রোফাইল গাড়ির পাশাপাশি অ্যাম্বুল্যান্স এবং জ্যামার থাকে এই কনভয়ে। এছাড়া আততায়ীদের কনফিউজড করতে প্রধানমন্ত্রীর গাড়ির মতো দেখতে আরও দু’টি গাড়ি থাকে কনভয়েতে।