Papiya Paul

৬০০ বছর পর বংশে এসেছে কন্যা সন্তান, জন্মদিনে মেয়েকে চাঁদের জমি কিনে উপহার দিলো মা-বাবা

আমাদের দেশে কন্যা সন্তান জন্মালে এখনো নাক সিঁটকানোর ব্যাপারটা রয়ে গেছে। এমনও আছে কন্যা সন্তান জন্ম হলেই তাকে মেরে ফেলা হয়। এমনকি এখনও তো ভ্রূণ হত্যার মতো বেআইনি কাজ করা হয়। তবে এর মধ্যে কিছু ব্যতিক্রম রয়েছে। অনেকেই কন্যা সন্তান জন্মালে বিরল কাজ করে। ঠিক যেমন এই পরিবার, বিহারের মধুবনী জেলার ঝাঁঝাড়পুরের এই বাসিন্দা বিরল চিত্র স্থাপন করেছে।

   

এই দম্পতি হলেন ডক্টর সুরবিন্দর কুমার ঝা এবং ডক্টর সুধা ঝা। এই দুজনে হলেন পেশায় কার্ডিয়লজিস্ট। তারা তাদের মেয়ের দশম জন্মদিনে চাঁদে এক একর জমি উপহার দিয়েছেন। জানা গেছে, প্রায় ৬০০ বছর পরে তাদের ঘর আলো করে কন্যা সন্তান জন্ম হয়েছে। তারা মনে করেন তাদের সেই কন্যা সন্তানের মুখ একেবারেই চাঁদের মত। তাই তার জন্মদিনে চাঁদের থেকে ভালো উপহার আর কি হতে পারে।

ওই পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ২০১৬ সালে গুজরাটের এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে চাঁদে জমি কেনার এই ব্যাপারটি তারা জানতে পেরেছিলেন। ওই ব্যবসায়ী তাদের ছয় বছরের মেয়ে নভ্যার জন্য চাঁদে জমি কিনেছেন। আর তার থেকেই অনুপ্রাণিত হয়ে তারাও চাঁদে জমি কেনার কথাটা ভেবে দেখেন। পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে দেড় বছর সময় লেগেছে। অনেক কাঠখড় পোড়ানোর পর আমেরিকার লুনা স্যাটেলাইট ইন্টারন্যাশনাল তাদের কাছে সমস্ত নথিপত্র পাঠিয়েছিল।

এরপর তাদের সকলের পাসপোর্ট প্রথমে যাচাই করা হয় তারপর দূতাবাসে যোগাযোগ করা হয়েছিল। এরপর তাদের কাছে কনফার্মেশন মেইল আসে। চাঁদে স্থিত 23°34’8″ দক্ষিণ অক্ষাংশ × 7°57’50” পশ্চিম দ্রাঘিমাংশে মেঘের সাগরে তাদের মেয়ের নাম লেখা হয়েছে। এরপর তাদের কাছে সব ডকুমেন্টগুলি পার্সলে আসে এবং সেখানে তাদের মেয়ের স্বাক্ষর করানোর পর তারা সেটিকে ফ্যাক্স করে। আমেরিকার সেই নথিতে চাঁদে যাওয়ার একটা বিমানের টিকিট ছিল এবং তাদের মা-বাবার কাছ থেকে পাওয়া গিফটের একটা বিশেষ পোস্টকার্ডও ছিলো। ওই দম্পতি বলেছেন যে তাদের দেখে আরো মানুষ অনুপ্রাণিত হবেন, আর ছেলেমেয়েকে সমান সুযোগ দেবেন।