বিতর্ক আর নেহা কক্কর আজকাল সমার্থক শব্দ হয়ে উঠেছে। তার রিমেক নিয়ে বিতর্ক নতুন কিছু নয়। সম্প্রতি ‘ও সজনা’ গানের রিমেক তৈরী করে মহা ফাঁপরে পড়েছেন তিনি। বিতর্ক থামার নাম তো নিচ্ছেই না, উল্টে বেড়েই চলেছে তা। এদিকে নিজের গান এভাবে নষ্ট হতে দেখে চুপ থাকতে পারেননি ফাল্গুনী পাঠক, নেহা কক্করকে বেশ একহাত নেন তিনি।
কিন্তু সেখানেই শেষ নয়। ফাল্গুনী পাঠককেও বেশ আচ্ছা করে শুনিয়ে আসেন নেহা। তারই মধ্যে এই নিয়ে মুখ খুলেছেন অস্কার জয়ী বিখ্যাত সঙ্গীত পরিচালক এবং গায়ক এ আর রহমান। বিদেশী এক নামী পত্রিকার সাক্ষাৎকারে রিমেক নিয়ে মুখ খোলেন তিনি। আর সেই সাক্ষাৎকার দেখলে স্পষ্টই বোঝা যাবে যে, রিমেক ব্যাপারটাকেই তিনি পছন্দ করেন না।
এ আর রহমান বলেন, ‘‘আমি এটাকে যত দেখি ততই দেখি এটা বিকৃত হয়ে যাচ্ছে। কম্পোজারের মনোভাব বিকৃত হয়ে যাচ্ছে। লোকে বলেন আমি এটার পুনঃকল্পনা করছি। আমরা কে পুনঃকল্পনা করার। আমি নিজেও অপরের কাজ নিয়ে খুব সতর্ক থাকি। সম্মান করা উচিত। আমার মনে হয় এটি একটি ধূসর জিনিস। আমাদের এই জিনিসটিকে ঠিক করা উচিত’’।
সংবামাধ্যম তারপরই লেজেন্ডারী এই গায়ককে জিজ্ঞেস করে যে, বিভিন্ন মিউজিক কম্পোজারদের তরফ থেকে তার কাছে নিজেরই কোনো আইকনিক গান রিমেকের অফার আসে কিনা। আর সেই প্রশ্নের জবাবে রহমান সাফ জানিয়ে দেন, ‘তাদের তেলেগু মিউজিক লঞ্চে প্রযোজকরা বলেছিলেন, আপনাদের দু’জন (এ আর রহমান এবং মণি রত্নম) যে গানগুলি বানান সেগুলি খুবই নতুন ধরণের হয়। আর সবাই সেই কদর করে’।
আদতে রহমান কিন্তু নাম নেননি নেহা কক্করের। তবে সোশ্যাল মিডিয়াতে বেশিরভাগ নেটপাড়ার বাসিন্দাদের অভিমত এই যে, আসলে ঘুরিয়ে নেহাকেই বিঁধেছেন এ আর রহমান। বিতর্ক এড়ানোর জন্য তিনি কারো নাম নেননি। তবে এর প্রতিক্রিয়ায় নেহা কি বলেছেন তা অবশ্য জানা যায়নি এখনো।
প্রসঙ্গত ‘ও সজনা’ গানের নির্মাতা ফাল্গুনী পাঠক নেহার গানের ব্যাপারে বেশ ঠুকে মন্তব্য করেন। ফাল্গুনী পাঠক এই বিষয়ে বলেন, তাঁর নাকি এই গানটি শুনে শুধু বমি হওয়াটাই বাকি ছিল। আর তাতেই চটে লাল নেহা। তিনি বলেন এরপর আবার নেহা সোশ্যাল মিডিয়ায় বলেছিলেন, যে যাই বলুক না কেন তাঁর কিছু যায় আসে না। কারণ সবাই জানে কে তিনি। তাই আর নতুন করে তাকে চেনার প্রয়োজন পড়বে না।
