Moumita

বাবা সামান্য AC মেকানিক, সমস্ত প্রতিকূলতাকে জয় করে CAT পরীক্ষায় ৯৯.৭৮% নম্বর পেল ছেলে

কঠোর পরিশ্রমই হলো সাফল্যের চাবিকাঠি। তবে এই কিন্তু লড়াইটা সবার জন্য সমান হয়না। দারিদ্রতার পাহাড় বাধা হয়ে দাঁড়ায় এই লড়াইয়ে। তবে এমন মানুষও দেখেছি যারা এই সমস্ত প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে আজ সাফল্যের বিছানায় বসে আড়মোড়া ভাঙছে। আজ এমনই একজন ব্যক্তির সাথে পরিচয় করাবো পাঠককুলের।

   

আসলে কাঙ্খিত সাফল্যকে হাসিল করার জন্য আত্মবিশ্বাস আর সঠিক পন্থা অবলম্বন করে নেমে পড়তে হয় ময়দানে। আর এরকমই এক উদাহরণ হল রাজিন মনসুরি। সমস্ত বাধাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে লড়াই করে গেছেন। আর সেই লড়াইয়ের ওপর ভর করেই নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তিনি।

চলতি বছরের ‘কমন অ্যাডমিশন টেস্ট’ (CAT) পরীক্ষায় তিনি পেয়েছেন ৯৯.৭৮ পার্সেন্টেজ। তবে, রাজিনের এই সাফল্য কিন্তু মুখের কথা ছিলনা। আহমেদাবাদের জুহাপুরা এলাকার বাসিন্দা রাজিনের বাবা একজন সামান্য এসি মেকানিক। বাবার এই পরিস্থিতিতে রাজিন ভালোভাবে নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে সংসারের হাল ধরতে চেয়েছিলেন।

CAT,Rajin Mansuri,Success Story,ক্যাট পরীক্ষা,রাজিন মনসুরি,সাফল্যের গল্প

জানা যাচ্ছে, ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনায় তুখোড় ছিলেন রাজিন। কোচিং নেওয়ার টাকা না থাকায় বৃত্তির সাহায্যেই নিজের পড়াশোনা চালিয়ে যান তিনি। তারপরেই ঠিক করেন যে, তিনি ম্যানেজমেন্ট পড়বেন। লক্ষ্য স্থির করে গত বছর ক্যাট পরীক্ষায় বসেন। ভালো ফল করলেও তাতে সন্তুষ্ট ছিলেননা রাজিন।

আর তাই আবার নতুন করে প্রস্ততি নিতে শুরু করেন। রাজিনের লড়াকু মনোভাব এবং মেধাকে প্রত্যক্ষ করে তাকে অর্ধেক খরচে কোচিং দেন এক শিক্ষক। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করার পরে একটি ৬ লক্ষ CTC-র চাকরিও পেয়েছিলেন রাজিন। কিন্তু, তিনি আরও ভালো কিছু করার লক্ষ্যে চাকরির পথে না হেঁটে ম্যানেজমেন্ট পড়তে চান।

CAT,Rajin Mansuri,Success Story,ক্যাট পরীক্ষা,রাজিন মনসুরি,সাফল্যের গল্প

এই প্রসঙ্গে, রাজিন জানান, ‘আমাদের পরিবারের আর্থিক অবস্থা আদৌ ভালো নয়। তাই স্কুলে পড়ার সময় থেকেই আমার লক্ষ্য থাকত বৃত্তি পাওয়ার। ঐভাবেই আমি আমার স্কুলের পড়াশেষ করি। তারপর আহমেদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মেধাবৃত্তি পেয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করি।’ সাথে তিনি এটাও বলেন, ‘আমার মত লড়াই করে যাঁরা স্বপ্নপূরণের চেষ্টা করছে তাঁদেরকে আমি সাহায্য করতে চাই।’