টলিউড,বিনোদন,ঋতুপর্ণ ঘোষ,ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত,দেব,Tollywood,Entertainment,Rituparna Sengupta,Dev,Rituparno Ghosh

Moumita

দেবের সঙ্গে ঋতুপর্ণাকে নিয়ে সিনেমা ভেবেছিলেন ঋতুপর্ণ ঘোষ, ছবি করতে না পারায় আক্ষেপের সুর অভিনেত্রীর গলায়

উলটে দেখুন পালটে যাবে’ কিংবা ‘সুরোভিত অ্যান্টিসেপ্টিক ক্রিম বোরোলিন’ এমন অনেক লাইনই বেরিয়েছে তাঁর কলম থেকে। বিজ্ঞাপন দিয়ে শুরু করলেও মূলত লক্ষ্য ছিলো বড়ো পর্দা। তাই রাস্তা বদলে চলচ্চিত্রের আঙিনায় পা রাখলেন তিনি। বদলে দিলেন বাঙালির বাঙালির সিনেমা দেখার দৃষ্টিভঙ্গিটাই। তিনি আর কেউ নন, বাঙালির আইকন ঋতুপর্ণ ঘোষ।

   

গতকাল ৩১ আগস্ট এই বহুমুখী প্রতিভার জন্ম হয়। সকলের কাছে পরিচালক ঋতুপর্ণ ঘোষ হলেও ইন্ডাস্ট্রি আজও তাঁকে ঋতুদা নামেই মনে রেখেছে। ১৯৯২ সালে ‘হীরের আংটি’র হাত ধরে তার পথ চলা। এর দুই বছর পর মুক্তি পায় তাঁর দ্বিতীয় ছবি ‘উনিশে এপ্রিল’। দ্বিতীয় ছবিই তাঁকে এনে দিয়েছিল প্রথম জাতীয় পুরস্কার। এরপর আর খুব একটা পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি ঋতুপর্ণ ঘোষকে।

উল্লেখ্য, গতকালই ছিলো এই কিংবদন্তি পরিচালকের জন্মদিন। আর তাই আজ সাড়ম্বরে একবার সেলুলয়েডের এক সেরা গল্প বলিয়ের কথা মনে করা। গতকাল পরিচালকের উদ্দেশ্যে নিজের কিছু মনের কথা লিখে প্রকাশ করেছেন অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত।

গতকাল এক মেইনস্ট্রিম মিডিয়ার হয়ে ঋতুপর্ণ ঘোষের স্মৃতিতে কলম ধরেছিলেন অভিনেত্রী। আদরের ঋতুদাকে নিয়ে নানা কথা ফুটে উঠেছে তার কলমে।‌ দীর্ঘ কেরিয়ারে মাত্র দুটি ছবিতেই ঋতুপর্ণর সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি। পর্দায় ঋতুপর্ণা আর ক্যামেরার পেছনে বাঙালির আইকন ঋতুপর্ণ ঘোষ। এই ঋতুপর্ণর কখনো মৃত্যু হতে পারেনা বলে মনে করেন অভিনেত্রী।

অভিনেত্রীর কথায়, “ছোটদের ছবি ‘হীরের আংটি’র হাত ধরে ঋতুদার যাত্রা শুরু। শেষ ছবি ‘চিত্রাঙ্গদা’। প্রতিটা ছবিতে সম্পর্ককে এক অন্য আঙ্গিকে দর্শকের কাছে তুলে ধরেছিল ঋতুদা। গল্পের ছলে প্রতিটা সম্পর্কের গভীরতাকে এ ভাবে তুলে ধরা— ঋতুদা ছাড়া কেউ পারবে না। মনের কথাগুলো খুব সহজেই যেন পড়ে ফেলতে পারত আমার ঋতুদা।”

আর এই সূত্র ধরেই নিজের এক আক্ষেপ প্রকাশ করলেন নায়িকা। ঋতুপর্ণা বলেন, “শেষ যে চিত্রনাট্যটা শুনিয়েছিল, সেই কাজটা সম্পন্ন হল না। দেব, প্রিয়াংশু আর আমায় নিয়ে একটা দারুণ গল্প ভেবেছিল। তার পর তো আচমকাই যেন এক দমকা হাওয়া এসে সব উল্টেপাল্টে দিল। এখনও আমার মনে একটা সুপ্ত ইচ্ছে রয়ে গিয়েছে। যদি সেই চিত্রনাট্যটা হাতে পেতাম, তা হলে নিজের মতো করে শুরু করতাম কাজটা।” তার ‘উৎসব’ ছবির হাত ধরেই বাংলা ইন্ডাস্ট্রি বিশ্বদরবারে পৌঁছেছিলো। ‘দহন’-এর রোমিতা হোক কিংবা ‘উৎসব’ ছবির কেয়া ঋতুপর্ণার মতে নারী মনকে ঋতুদার চেয়ে বেশি ভাল কেউ চেনেনি।