‘মহালয়া’ এ কেবল একটা দিন নয়, বাঙালির কাছে একটা আবেগের নাম এটি। মহালয়ার ভোর মানেই রেডিওতে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের গলায় মহিষাসুরমর্দিনী পাঠ। তবে বিগত কয়েকবছর ধরে রেডিও-এর পাশাপাশি টেলিভিশনের পর্দাতেও, মহালয়া দেখার উৎসাহ কম থাকে না। এইদিন সকালে বিভিন্ন চ্যানেলে দেবী দুর্গার মহিষাসুরমর্দিনী রূপে একাধিক কাহিনী দেখানো হয়।
আর সম্প্রতি এই টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠানগুলি নিয়েই শুরু হয়েছে নানান ধরনের তর্ক বিতর্ক। গত ২৫ তারিখই শেষ হয়েছে মহালয়ার সম্প্রচারণ। ধারাবাহিকতা বজায় রেখে টিভির পর্দায় এবছরও অনুষ্ঠিত হয়েছে একাধিক অনুষ্ঠান। আর সেইসব নিয়েই সমালোচনার ঝড় উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
এইসব অনুষ্ঠান দেখে কেউ বলছে ভিএফএক্সেই গিলে নিয়েছে সবকিছু। মহালয়ার সেই গল্প কই? এতো খালি নাচ আর লম্ফ ঝম্ফ। বর্তমান দিনে খরচ তো বহুত হয়েছে কিন্তু সেই পুরনো দিনের দূরদর্শনের মহালয়ার আমেজ ফিরিয়ে আনতে পারেনি কোনো টিভি চ্যানেলে। জাঁকজমক, লাইট, সাউন্ড আর অ্যাকশনের মাঝে হারিয়ে গেছে আসল মহালয়ার সেই গাম্ভীর্য।
আর সম্প্রতি এই প্রসঙ্গেই মুখ খুললেন অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র। নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে দূরদর্শনের মহালয়ার অনুষ্ঠানের একটি ইউটিউড ভিডিওর লিঙ্ক শেয়ার করে শ্রীলেখা লিখেছেন, ‘মা দূর্গা সাজতে গেলে ডিজাইনার শাড়ি, গয়না লাগে না আর স্পেশ্যাল এফেক্টস দিয়ে ‘খামতি’ গুলো পূরণ করা যায় না। চ্যানেল এবং বাকিরা বুঝবেন কবে?’
শুধু তাই নয়, অভিনেত্রীর আরো সংযোজন, ‘আমাদের ছোটবেলার মা দূর্গা সেজেছিলেন সংযুক্তা বন্দ্যোপাধ্যায় দূরদর্শনে। তাকে মানাত, তার মুখের শ্রী ছিল মায়ের মতো। আপনাদের সেটা নেই।’ অবশ্য এর জন্য অভিনেত্রীদের অতটাও দায়ি করেননি তিনি। তার মতে, এই গোটা দোষটাই নাকি সিস্টেমের।
শ্রীলেখার কথায়, ‘দোষ আপনাদের নয়, সিস্টেমের। রাজনৈতিক এবং ক্ষমতার। আবার ভাববেন না দয়া করে আমাকে কোনোদিন মা দূর্গা হতে দেখেননি বলে আমি হিংসেতে বলছি আর ভাবলেও কী বা যায় আসে আমার আপনার বলুন? সাধারণত্বেরই সবসময় জয়জয়কার হয় এটা বুঝলে আমার চোদ্দো পুরুষের ভাগ্য।’