Aindrila Sharma

Moumita

মৃত্যুর ৫ মাস পরে ঐন্দ্রিলার ইচ্ছেপূরণ মা ও দিদির, আবেগে ও চোখের জলে ভাসলো নেটজনতা

আজ ৫ মাস হয়ে গেল ঐন্দ্রিলা শর্মা (Aindrila Sharma)আমাদের মধ্যে নেই। তবে অভিনেত্রীর মৃত্যুশোকে এখনও আচ্ছন্ন হয়ে আছে সোশ্যাল মিডিয়া। এখনও তাঁকে হারানোর হাহাকার দেখা যায় ফ্যানপেজ গুলির মধ্যে। এসবের মধ্যেই কোনোভাবেই নিজেদের শক্ত করছেন তাঁর বাড়ির সদস্যরা। নিজেকে নতুন করে গুছিয়ে তুলছেন প্রেমিক সব্যসাচীও (Sabyasachi Chowdhury)।

   

নায়িকার মৃত্যুর পরের পাঁচটা মাস যেন বিভীষিকার মত কেটেছে মা শিখা দেবির কাছে। তিনি নিজেও একজন ক্যান্সার পেশেন্ট। যদিও তিনি এখন অনেকটাই সুস্থ। তার ছোট মেয়েও দু-দুবার ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করে ফিরে এসেছিলেন, কিন্তু হেরে গেছিলেন ব্রেন স্ট্রোকের কাছে। আর এবার মৃত মেয়ের সব ইচ্ছে পূরণ করতে চান তার মা শিখা শর্মা ও দিদি ঐশ্বর্য।

সম্প্রতি জি বাংলার ‘দিদি নম্বর ওয়ান’এ এসে মেয়ের কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়লেন শিখা দেবি। তিনি জানালেন, গত পাঁচ মাসে ঐন্দ্রিলাকে ছাড়াই শুধু তার স্মৃতি নিয়ে বেঁচে রয়েছে তার গোটা পরিবার। কেমনভাবে কেটেছে তার ছোটবেলা, মৃত্যুর আগের দিনগুলো কিভাবে কেটেছে তাদের, সম্প্রতি সেইসব নিয়েই মুখ খোলেন ঐন্দ্রিলার মা ও দিদি।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এইদিন ‘দিদি নম্বর ওয়ান’এ মা ও মেয়ের বিশেষ পর্বে উপস্থিত হয়েছিলেন শিখা শর্মা এবং তার দিদি ঐশ্বর্য। সেখানেই বোনের কথা বলতে গিয়ে বারংবার চোখ ভিজে যাচ্ছিল ঐন্দ্রিলার। শিখা শর্মা বলেন, মেয়ের ইচ্ছে পূরণ করার জন্যেই ‘দিদি নম্বর ওয়ান’র মঞ্চে এসে হাজির হয়েছেন তিনি। আসলে ঐন্দ্রিলা নিজেই চেয়েছিলেন মা-কে নিয়ে আসতে।

সেটা তো আর হলনা, তাই বড় মেয়ের হাত ধরেই সকলের মাঝে উপস্থিত হয়েছেন তিনি‌। ঐশ্বর্য বলেন ঐন্দ্রিলা ছিলেন তাদের পরিবারের রং। তার চলে যাওয়ার পর থেকেই জীবন থেকে যেন সব রং হারিয়ে গেছে। শিখা শর্মা জানান, হসপিটালে ভর্তি হওয়ার আগে মুহুর্তে বিছানায় মায়ের পাশে শুয়েই গল্প করছিলেন তিনি।

বিনোদন,টলিউড,ঐন্দ্রিলা শর্মা,সব্যসাচী চৌধুরী,মৃত্যু,Tollywood,Entertainment,Aindrila Sharma,Death,দিদি নাম্বার ওয়ান,শিখা শর্মা,শেষ ইচ্ছা,Shikha Sharma,Didi Number One,Last Wishes

পরের দিনই নাকি গোয়া যাওয়ার কথা ছিল, আর তাই ঐদিন মা-কে নিয়ে সিনেমা দেখতে চেয়েছিলেন ঐন্দ্রিলা। তারপর হঠাৎ করেই তিনি বলেন যে, তার হাত পা নাড়াতে পারছেননা। এরপর মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যেই ব্রেইন স্ট্রোক, অসাড় হয়ে যায় পুরো শরীর। হাসপাতালে ভর্তির পর টানা ২০ দিন ধরে যমে মানুষের টানাটানি চলে। তবে শেষরক্ষা আর হয়নি। সবকিছু ফেলে চলে যান না ফেরার দেশে।