Papiya Paul

ফ্লাইট মিস হওয়ায় কেঁদে ভাসান ঋতুপর্ণা, এই বিমানের জন্যই অঘটনের হাত থেকে রেহাই পান অক্ষয় কুমার!

টলিউড অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে নিয়ে এখন জোর চর্চা চলছে নেটদুনিয়ায়। যদিও এর কারণ হলেন তিনি নিজেই। মঙ্গলবার ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে না নিয়ে বিমান উড়ে গিয়েছে। এমনকি অনেকবার কাকুতিমিনতি করার পরেও তাকে উঠতে দেওয়া হয়নি। এর ফলে অভিনেত্রীর শুটিং শিডিউল ব্যর্থ হয়েছে। তাই প্রথমে কান্নাকাটি করেছিলেন তিনি। কিন্তু কোন উপায় না পেয়ে শেষ পর্যন্ত তার সমস্ত বিরক্তি সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি।

   

আর এই ঘটনা নিয়ে সরগরম হয়েছে নেটপাড়া। তবে এই বিমানকে কেন্দ্র করে বলিউডের আরেক জনপ্রিয় অভিনেতা অক্ষয় কুমারের এমন এক কাহিনী রয়েছে যা সকলের কাছে অজানা। আর এই কাহিনী বদলে দিয়েছিল অভিনেতা অক্ষয় কুমারের জীবন। অক্ষয় কুমার ও একসময় ফ্লাইট মিস করেছিলেন। কিন্তু এই কারণের জন্যই তাকে হতাশ হতে হয়নি। এই বিমানে উড়তে না পারার ঘটনাটাই একপ্রকার শাপে বর হয়ে দাঁড়িয়েছিল অভিনেতার জীবনে।

তখনো তিনি অভিনেতা হিসাবে পরিচিতি হননি। বরং মডেলিং এর কাজ করতেন। এরপর হঠাৎ করেই তার কাছে একটি মডেলিংয়ের প্রস্তাব আসে ব্যাঙ্গালুরুতে। মুম্বাই থেকে বিমানের টিকিট কেটেছিলেন অক্ষয়। সেই বিমান ছাড়ার কথা ছিল ভোর ছটায়। কিন্তু অক্ষয় সেসময় ভেবেছেন সন্ধ্যে ছটা। তাই ভোরবেলায় যখন তিনি ঘুমে আচ্ছন্ন, তখন বিমান সংস্থার কর্মীরা অক্ষয়কে ফোন করেন। অভিনেতা যখন ভুল বুঝতে পারেন তখন তিনি কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার জন্য অনুরোধ করেছিলেন।

কিন্তু তার সেই কথা শোনা হয়নি, বরং তাকে বলা হয়েছিল, তার মত এরকম অপেশাদার মানুষ কখনই সফল হতে পারবেন না। এই কথাটি খুব বেঁধেছিলো অক্ষয়ের মনে। তাই সেদিনই মুম্বাইয়ের নটরাজ স্টুডিওতে গিয়ে সেখানকার মেক-আপ আর্টিস্টের সঙ্গে পরামর্শ করে পরিচালক প্রমোদ চক্রবর্তীর সঙ্গে দেখা করেন তিনি। আর তার সঙ্গে কথা বলে সেই পরিচালক তাকে তিনটি ছবি নায়ক হিসেবে চুক্তি স্বাক্ষর করেন।

আর সেই ছবিগুলোর পারিশ্রমিক হিসেবে তিনি পেয়েছিলেন ৫০ হাজার, এক লক্ষ ও দেড় লক্ষ টাকা। পরবর্তীকালে এক সাক্ষাৎকারে জীবনের এই ঘটনার কথা জানিয়েছিলেন তিনি। এমনকি সেই বিমান সংস্থাকে ধন্যবাদ জানান খিলাড়ি কুমার। সেই ফ্লাইটটি যদি না মিস হতো তাহলে হয়তো আর সুপারস্টার হওয়া হতোনা অক্ষয় কুমারের!