বলিউডে এমন বেশ কয়েকজন অভিনেতা রয়েছেন যাঁরা ‘ভিলেন’ হিসেবেই সমধিক পরিচিত। এমনই এক বহুল চর্চিত ভিলেনের নাম হলো অমরেশ পুরী। যদি ইন্ডাস্ট্রির সেরা ভিলেনদের তালিকা তৈরি করা হয় তবে নিঃসন্দেহে অমরেশ পুরীর নাম থাকবে সবার শীর্ষে। ইন্ডাস্ট্রির হিরো-হিরোইনরা সবসময়ই মিডিয়ার লাইমলাইটে থাকে কিন্তু ভিলেনরা? অমরেশ পুরীর অভিনয় সম্পর্কে তো সকলেই অবগত কিন্তু তার ব্যক্তিগত জীবনের কথা কয়জনই বা জানেন? এই দূর্ধর্ষ ভিলেন বাস্তব জীবনে যে কতটা রোমান্টিক তা যদি জানতেন সবাই।
রূপোলী পর্দায় চরিত্রকে বাস্তব সম্মত করে তুলতে মেয়েদের টোন টিটকিরি কাটা থেকে শুরু করে পোষাক ধরে টানা কোনো কিছুই বাকি থাকেনি তার। কিন্তু জানলে অবাক লাগবে যে, বাস্তব জীবনে ঠিক উল্টোটা ছিলেন তিনি। কোনোরকম নেশার মায়া তাকে বাঁধতে পারেনি। এছাড়াও নিজের দীর্ঘ বলিউড জীবনে কোনোরকম অ্যাফেয়ার্সের ঘটনায় জড়ায়নি তার নাম। নিজের স্ত্রীর প্রতি এতোটাই অনুগত ছিলেন যে, অন্য কোনো মেয়ের দিকে চোখ তুলেও তাকাতেননা তিনি।
সাল ১৯৩২, ২২ জুন পাঞ্জাবে জন্মগ্রহণ করেন অমরেশ পুরী। একটি বীমা কোম্পানি দিয়ে কেরিয়ারের সূচনা। ঐ বীমা কোম্পানিতে কাজ করার সময়ই তার স্ত্রীয়ের সাথে পরিচয় হয় তার। আর যাকে আমরা বলি লাভ অ্যাট ফার্স্ট সাইড, সেটাই হয়েছিলো মোগ্যাম্বোর ক্ষেত্রেও। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অমরেশ পুরীর নাতি তার দাদুর অজ্ঞাত প্রেমকাহিনী সর্বসমক্ষে তুলে ধরেন। বর্ধনের কথায় জানা যায়, বিমা কোম্পানিতে কর্মরত অবস্থায় একে অপরকে পছন্দ করতে শুরু করেন অমরেশ এবং ঊর্মিলা। কিন্তু এক্ষেত্রেও সিমরানের বাবার মতোই বেঁকে বসেছিলেন অমরেশ-ঊর্মিলার পরিবারও।
তবে তারাও হার মানেননি, একজন পাঞ্জাবী আরেকজন দক্ষিণ ভারতীয় হয়েও লড়াই জারি রেখেছিলেন দুজনে। এবং অবশেষে সকলকে রাজি করেই তবেই ক্ষান্ত হন দুজন। শুধু তাই নয়, বর্ধনের কথাতেই জানা গেলো তার ঠাকুমা ঊর্মিলা কতটা পরিশ্রম করে সংসার সামলেছেন। দাদু যখন ইন্ডাস্ট্রিতে একটা কাজের জন্য অডিশনের পর অডিশনে লাইন দিচ্ছে সেই সময় পুরো পরিবারের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন তিনি। এমনকি দরকারে ওভারটাইম করেও পরিবারের প্রয়োজন মেটাতেন তিনি। আর সেই কারণেই জাঁদরেল মোগ্যাম্বো সবসময় বলতেন, ‘আমি হিরো হই বা না হই, কিন্তু এই বাড়ির হিরো সবসময় আমার বৌ থাকবে’।