Papiya Paul

কিনতে পারতেন না পেন্সিল, এখন মাসে কামান ১২ লাখ, খান স্যারের গল্প অনুপ্রাণিত করবে

নিউজশর্ট ডেস্কঃ এমন বহু মানুষের জীবন কাহিনী আছে যা শুনলে অনুপ্রাণিত(Inspirational Story) হতে হয়। এই প্রতিবেদনে এমনই একজন জনপ্রিয় ব্যক্তিত্বের জীবন কাহিনী সম্পর্কে আপনাদেরকে জানাবো। সারা দেশ তাকে এখন ‘খান স্যার’ নামেই চেনে। তার আসল নাম হল ফয়জল খান। এই মুহূর্তে দেশের যে কয়েকজন জনপ্রিয় শিক্ষক রয়েছে তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন খান স্যার(Khan Sir)।

   

যারা সরকারি চাকরির পরীক্ষা দিতে চান, তাদের কাছে তিনি হলেন স্বয়ং ভগবানের দূত। তার জনপ্রিয়তা আকাশছোঁয়া। তার একটি নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে, যার নাম খান জিএস রিসার্চ সেন্টার। তার জীবনের লড়াইয়ের কাহিনী শুনলে সত্যিই চমকে যেতে হবে। তিনি একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন যে তার জনপ্রিয়তার জন্য অনেকেই তার কোচিং সেন্টার দখল করার চেষ্টা করেছিলেন। আর এই জবর দখলের ঘটনায় অত্যন্ত রেগে গিয়েছিলেন তিনি।

কিন্তু পরবর্তীকালে বেশ কয়েকজনের চেষ্টায় তিনি ফের সেটিকে তৈরি করেন। এমনকি তার কোচিং সেন্টারে বোমাও ফেলা হয়েছিল। দুষ্কৃতীদের দাবি ছিল যে খান স্যার এত কম টাকা নেন। তার ফি আরো বাড়াতে হবে। কিন্তু এত কিছুর পরেও নিজের জায়গা থেকে একদণ্ড সরে আসেননি। তার লক্ষ্যে সবসময় স্থির ছিলেন তিনি। খান স্যার কখনোই সরকারি চাকরির পরীক্ষায় নিজের সফলতা পাননি। কিন্তু তিনি পেয়েছেন নতুন চলার বার্তা।

আরও পড়ুন: ২৪ বছরে ১৬ বার পরীক্ষায় ফেল, অবশেষে সরকারি চাকরি পেয়ে নজির গড়লেন এই ব্যক্তি

তাদের পারিবারিক অবস্থা এতটাই খারাপ ছিল যে তাকে পড়ানোর দিকে ঠেলে দিয়েছিল। একাধিক সাক্ষাৎকারে বলেছেন যে তিনি খুব প্রাথমিক কতগুলো জিনিস দিয়ে নিজের জীবন অতিবাহিত করতেন এতটাই গরীব ঘরের সন্তান তিনি যে নিজের পেন্সিল কেনার মত টাকাও তাদের ছিল না। পড়ুয়া হিসেবে তিনি একেবারে শীর্ষে থাকতেন না। একজন মধ্যম মানের ছাত্র ছিলেন।

ভারতীয় সেনায় যোগ দিতে চেয়েছিলেন তিনি কিন্তু সেখানে পরীক্ষাতে পাশ করতে পারেননি। এরপর ন্যাশনাল ডিফেন্স একাডেমিতেও যোগ দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু সেখানেও সাফল্য না পাওয়ায় এক বন্ধুই তাকে শিক্ষকতার পরামর্শ দেন। একজন পড়ুয়া নিয়ে তিনি তার কোচিং সেন্টার শুরু করেছিলেন। সেই ছাত্রটি যে স্কুলে পড়তো সে বছর সেই স্কুলে ফার্স্ট হয়. এরপর তিনি আরো পড়ুয়াদের পড়াতে শুরু করেন।

আরও পড়ুন: ডিম বিক্রি করে চলত সংসার, কঠোর পরিশ্রমের পর JEE IIT-তে সফল হয়ে মা-বাবার মুখ উজ্জ্বল করলেন ছেলে

এখন তার ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা অসংখ্য। আপাতত তিনি এখন ইউটিউব চ্যানেল থেকে প্রত্যেক মাসে ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা উপার্জন করেন। আর বছরে তার উপার্জন প্রায় পাঁচ কোটি টাকার কাছাকাছি। তার ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইবারের সংখ্যা প্রায় ২১.৩ মিলিয়ন। প্রতি বছর প্রচুর পড়ুয়া তার কাছে পড়ে সরকারি পরীক্ষায় সফলতা লাভ করেছে।