Papiya Paul

আন্তর্জাতিক স্তরে বাউল গানকে পৌঁছে দিলেন বাঙালি মেয়ে অনন্যা

চলতি মাস থেকে শুরু হয়ে গেছে সারেগামাপা। এবার জাতীয় স্তরে অংশগ্রহণ করতে দেখা যাচ্ছে বাংলার এক ঝাঁক শিল্পীকে। এই শিল্পীদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা আগেও অন্য কোন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছিলেন। সারেগামাপা- এর মঞ্চে এই বছর আমরা দেখতে পাচ্ছি বিদীপ্তা চক্রবর্তী, স্নিগ্ধজিৎ ভৌমিক, অনন্যা চক্রবর্তীকে।এনাদের মধ্যে অনন্যা সবথেকে বেশি মাটির গানের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এর আগেও মাটির গান সকলের কাছে পৌঁছে দেবার জন্য প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছিলেন তিনি, এবার পালা জাতীয় স্তরে বাংলার বাউল গান পৌঁছে দেওয়ার। প্রথম ধাপে পুরোপুরি সফল এই মেয়ে।

   

অডিশন রাউন্ডে অনন্যার গান শুনে মুগ্ধ হয়েছে সকলে। একতারা হাতে বাউল গান বাজিয়ে সকলকে মাতিয়ে দিয়েছেন অনন্যা। “লুটেরা” ছবির “মনটা রে” গানটি গেয়েছিলেন একেবারেই অন্যরকম ভঙ্গিতে। বিচারকের আসনে বসে থাকা শংকর মহাদেবন, বিশাল দাদলানি, হিমেশ রেশামিয়া নিমেষে মুগ্ধ হয়ে যান এই গান শুনে।

শুধু মাত্র তিন বিচারক নয়, জুরিরও ভোট পান তিনি। দেবজিৎ, অনেকের মতো গায়করা মুগ্ধ হয়ে গেছেন। জাতীয় মঞ্চে প্রথমবার পারফর্ম করতে পেরে বেজায় খুশি অনন্যা, তাঁকে পারফর্ম করতে দেখে আরো বেশি খুশি সকলে। জাতীয় স্তরে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করা প্রসঙ্গে তিনি জানান, এটি একটি ঐতিহাসিক মঞ্চ। মাটির গান সকলকে পৌঁছে দেবার জন্য তিনি এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন। আগামী দিনে রবীন্দ্র সংগীত গাওয়ার ইচ্ছে রয়েছে তাঁর।

উল্লেখ্য, মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য গানের জগতে এসেছিলেন অনন্যা। বাউল মেলায় ঘুরতে ঘুরতে একদিন বর্ধমানের আন্দুলে পৌঁছে যান সাধন দাস বৈরাগীর আশ্রমে। ছোট থেকেই সংগীতকে ভালোবেসে বড় হওয়া তাঁর, তাই এই সুযোগ একেবারেই হাতছাড়া করেননি তিনি। ২৫ বছরের এই গায়িকা রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভোকাল মিউজিক নিয়ে পড়াশোনাও করেছিলেন।