Arijit Singh

anita

Arijit Singh: চুরির অপবাদে শেষ হতে বসেছিল পড়াশোনা! ফাঁস হল অরিজিৎ সিংয়ের স্কুল জীবনের সিক্রেট

নিউজ শর্ট ডেস্ক: এখন আমাদের দেশের নাম্বার ওয়ান গায়ক অরিজিৎ সিং (Arijit Singh)। তিনি ছুঁলেই সোনা! তাই অরিজিৎ গাইলেই সুপারহিট সেই গান। কিন্তু এত বড় মাপের একজন গায়ক হয়েও আজও মাটিতে পা রেখেই  চলতে ভালোবাসেন বাংলার জিয়াগঞ্জের এই ভূমিপুত্র। তাই কাজের জন্য দেশ বিদেশে ঘুরতে হলেও অরিজিতের জীবন জুড়ে রয়েছে তাঁর জন্মভূমি মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জ। এখানে নিজের স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে সেখানেই খুব সাধারণ জীবন যাপন করতে পছন্দ করেন গায়ক। তাই গায়ক অরিজিতের পাশাপাশি মানুষ অরিজিতের ভক্ত সংখ্যাও নেহাত কম নেই ভূ-ভারতে।

   

তবে অরিজিৎ সিং ছোটবেলায় (Childhood) নিজেও কিন্তু কম বদমাশ ছিলেন না! যার জন্য স্কুলজীবনে (School Life) জুটে ছিল চোরের (Thief) অপবাদও। তাই খুব লজ্জায় পড়ে গিয়েছিলেন গায়ক। সম্প্রতি তারসেম মিত্তলের সঙ্গে একটি মিউজিক পডকাস্টে হাজির হয়েছিলেন অরিজিত। সেখানেই স্কুলের একটি মজার ঘটনার শেয়ার করে অরিজিৎ জানান তখন তিনি ক্লাস টেনে পড়তেন। ইলেভেনের স্টুডেন্টদের জন্য স্কুলের ল্যাবের ব্যবস্থা থাকত।

যা তাদের কাছে খুবই কৌতূহলের বিষয় ছিল। সেই ল্যাবে ঢোকার সুযোগও পেয়েছিলেন অরিজিৎ আর তাঁর দুই বন্ধু। আর তখনই ল্যাবে থাকা টেস্ট টিউবসহ অন্যান্য জিনিসপত্র দেখে খুবই মজা পেয়ে গিয়েছিলেতাঁরা। কিন্তু তারপরে যাওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়. তখন এক বন্ধু অরিজিতকে বলেছিলেন ‘চল ভাই আমাদের পার্সোনাল একটা ল্যাব পেয়ে গেছি। নিজেদের ল্যাব’। এরপর তারা সাইকেল নিয়ে চলে গিয়েছিলেন সেই ল্যাবের খোঁজে। কিন্তু বন্ধুর কথায় জঙ্গলের ভিতর দিয়ে কোথায় সেই ল্যাব আছে তা বুঝতে পারছিলেন না।  এরপর ওই বন্ধু পাঁচিল টপকে ঢুকে পড়েন ভিতরে। কিন্তু তখনও অরিজিৎ ভাবছেন ল্যাব কোথায়?

অরিজিৎ সিং,Arijit Singh,স্কুল জীবন,School Life,জিয়াগঞ্জ,Jiyaganj,গান,Music,Entertainment,বিনোদন,Bangla Khobor,বাংলা খবর,Tollywood,টলিউড,Bengali Khobor,Bangla,Bengali,Entertainment News,বায়োস্কোপ নিউজ

এরপর একটা বিশাল বড় রুমে ঢুকে পড়েন তারা।  সেখানে একটা বড় টেবিল আর তার ওপরে বড় একটা লাইট ছিল, সাথে ছিল অনেক সরঞ্জাম। ওখানেই ছিল গরুদের দেওয়ার জন্য একটা বড় ইনজেকশন। ওগুলো হাতে নিয়েই জল ভরে পিচকারির মতো খেলা শুরু করে দিয়েছিলেন তারা। কিন্তু এত চিৎকার চেঁচামেচি আর হইহুল্লোড় পেয়ে ততক্ষণে আশেপাশের লোকজন জড়ো হয়ে যায়।  তারা সবাই তাদের কান ধরে বাইরে নিয়ে আসে আর চোর বলে সোজা হেডমাস্টারের কাছে নালিশ করে গত রাতে যে প্লেট চুরি হয়েছিল তা এরাই চুরি করেছে।

আরও পড়ুন: ‘আমি ইন্ড্রাস্ট্রিতে টিকে আছি আমার প্রতিভার জোরে’, অকপট মিঠুন চক্রবর্তী

আসলে ওই বিল্ডিংটা  ছিল লন্ডন মিশন হাসপাতাল। এখন তালাবন্ধ সেই হাসপাতাল নতুন করে চালু করার চেষ্টা করছেন অরিজিৎ। অথচ এককালে এই হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটারে ঢুকেই বদমাইশি করেছিলেন অরিজিৎ আর তার দুই বন্ধু। প্রধান শিক্ষকের কাছে সেই সময় নালিশ করা হয়েছিল যাতে  অরিজিত আর তার দুই বন্ধুকে স্কুল থেকে বার করে দেওয়া হয়।কিন্তু তখন অরিজিত ভাবছিলেন তাদের সামনেই ছিল মাধ্যমিক পরীক্ষা। এমন সময় স্কুল থেকে তাড়ানো হলে ভবিষ্যৎ অন্ধকার।

কিন্তু রেহাই মেলেনি তারপরেও। স্কুল কলোনির  লোকজন অরিজিতকে দেখিয়ে সবাইকে ডেকে ডেকে বলছিলেন ‘এই চুরি করেছে’।  এখানেই শেষ নয়, বাড়ি যাওয়ার পর বাবার কাছেও খেয়েছিলেন উত্তম মধ্যম মার। এই ঘটনা প্রসঙ্গে গায়ক জানান ‘ওই জায়গার যিনি ইন চার্জ ছিলেন, তিনি বাবাকে চিনতেন। নিশ্চিতভাবেই আমাকে নিয়ে অনেক কিছু বলেছিলেন। তার ফল বাড়িতে এসে পেয়েছিলাম’। এই ঘটনা থেকে অরিজিত কি শিক্ষা পেয়েছিলেন?  তা জানতে চাওয়া হলে গায়ক এদিন বলেন ‘কোনদিন অন্ধের মত কাউকে ফলো করো না. নিজের বুদ্ধিতে চলো। এটাই শিখেছি।’