টলিউড,বিনোদন,ধারাবাহিক,টেলিভিশন,মাধবীলতা,সোশ্যাল মিডিয়া,ট্রোলিং,Tollywood,Entertainment,Gossip,Serial,Television,Madhabi Lata,Social Media,Trolling

Moumita

কলমের কালি শেষ, লিখতে পারেনি শেষ ২ নম্বর প্রশ্নের উত্তর, ‘মাধবীলতা’র উদ্ভট কাহিনী শুনে ট্রোলের ঝড় নেটপাড়ায়

সবে মাত্র কয়েক মাস হয়েছে স্টার জলসায় (Star Jalsha) নতুন ধারাবাহিক এসেছে ‘মাধবীলতা’। গল্প সেই থোড় বড়ি খাড়া আর খাড়া বড়ি থোড় হলেও গল্পে একটা বিশেষ মেসেজ আছে। পরিবেশ দূষণ যেভাবে দিনদিন বাড়ছে তাতে সমাজকে গাছ বাঁচানো নিয়ে একটা বেশ সুন্দর বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে এই ধারাবাহিকে।

   

প্রসঙ্গত, ধারাবাহিকের নায়িকা আদিবাসী পরিবারের মেয়ে। গাছপালা, বনে জঙ্গলের মাঝেই সে বেড়ে উঠেছে। এমতাবস্থায় যারা গাছ কেটে কাঠের চোরা কারবার করে, তারা হল মাধবীর ঘোর শত্রু। আর এখানেই হচ্ছে গল্পের টুইস্ট। এই মাধবীলতারই বিয়ে হয়েছে চোরাকারবারকারীদের হেড সেই পুষ্পরঞ্জন চৌধুরীর বাড়িতে। পুষ্পরঞ্জনের ছেলে সবুজের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছে মাধবী। এখন শ্বশুরমশাইকে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনাই তার একমাত্র লক্ষ্য।

শ্বশুরমশাইয়ের প্রতিটি প্ল্যান বানচাল করার পাশাপাশি মাধবী তাকে হাতে ধরে ‘অ-আ-ক-খ’ও শেখাচ্ছে। আসলে মাধবীলতা গ্রামের মেয়ে হলেও নিজে বেশ মেধাবী ছাত্রী। সে শ্বশুরমশাইকে বোঝানোর চেষ্টা করে যে, গাছের সাথে কীভাবে আমাদের জীবন জড়িয়ে রয়েছে। গাছ কাটলে বাড়বে তাপমাত্রা এবং শেষ হয়ে যাবে প্রাণের অস্তিত্ব।

টলিউড,বিনোদন,ধারাবাহিক,টেলিভিশন,মাধবীলতা,সোশ্যাল মিডিয়া,ট্রোলিং,Tollywood,Entertainment,Gossip,Serial,Television,Madhabi Lata,Social Media,Trolling

মাধবীর এই জ্ঞানের পরিধি দেখে কার্যত অবাক হয়ে যায় তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন। সবুজ তাকে অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করে, “তুমি এত কিছু জানো?” মাধবী তার জবাবে বলে, ‘কেন গ্রামে থাকি বলে কি আমি অশিক্ষিত? আমি পদার্থবিদ্যায় ১০০ এর মধ্যে ৯৮ পেয়েছিলাম। ২ নম্বর কেন পাইনি জানেন? কারণ আমি যে কলমটাই লিখছিলাম সেই কলমের কালি ফুরিয়ে গিয়েছিল। আর একটা কলম কেনার পয়সা আমার ছিল না।’

টলিউড,বিনোদন,ধারাবাহিক,টেলিভিশন,মাধবীলতা,সোশ্যাল মিডিয়া,ট্রোলিং,Tollywood,Entertainment,Gossip,Serial,Television,Madhabi Lata,Social Media,Trolling

মাধবীর কথায় জানা যায়, সেইদিন সে সকলের কাছে একটা কলম ধার চাইলেও কেউ একটা কলম দিয়ে সাহায্য করেনি। আর এই কারণেই নাকি পরীক্ষার শেষ প্রশ্নের উত্তরটা জানা থাকা সত্ত্বেও সে লিখতে পারেনি। এই কথা বলতে বলতে নায়িকার দুচোখ ভরে ওঠে জলে। আর এখানেই ঘটেছে যত বিপত্তি। নায়িকার কষ্টে সমব্যাথী হওয়া তো দূরের কথা উলটে ট্রোলিংয়ের বন্যা বইছে নেটপাড়ায়।

[videopress UZLgbcX4]

 

কেউ লিখেছেন, ‘আমার একটা পেনের রিফিলে ইতিহাসের অনার্সের চারটে পেপারার কমপ্লিট হল। এবার বুঝতে পারছি পেনের কালি ফুরোইনি বলেই ১০০ই ১০০ পাইনি।’ আবার কেউ লিখেছে, ‘অবাক হয়ে যাই, এসব আজগুবি গল্প এই শিক্ষিত সচেতন সমাজে কোটি কোটি টাকার এপিসোড হিসেবে বিক্রি হচ্ছে!’ স্ক্রীপ্ট রাইটারেরও তুলোধুনো করেছে অনেকে, ‘এত আশ্চর্য সিরিয়ালটার স্ক্রিপ্ট রাইটারকে আমার প্রণাম।’