নিউজশর্ট ডেস্কঃ হ্যাঁ স্বপ্ন সত্যি হয়, এদিনের সারেগামাপার (Saregamapa) পর্ব দেখে এমনটা বলছেন নেটিজনদের অনেকেই। বর্তমানে চলছে সারেগাপামার অডিশন পর্ব। বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নিজেদের গানের দক্ষতা প্রমাণ করতে হাজির হয়েছেন একাধিক প্রতিযোগী। তবে তাদের মধ্যে ‘সপ্তপর্ণী’ শুরুতেই নজর কাড়লেন বিচারকদের। শো চলাকালীন সপ্তপর্ণীকে দেখেই ‘চেনা চেনা মনে হচ্ছে!’ বলে উঠলেন শান্তনু মৈত্র (Shantanu Moitra)।
বিচারকের প্রশ্নের উত্তরে জবাব এল, ‘হ্যাঁ স্যার। বিগত ৩-৪টে সিজেনে ব্যাকআপ ভোকালিস্ট ছিলাম আমি’। অর্থাৎ এর আগের সারেগামাপা এর সিজেনগুলিতে ভোকালিস্ট হিসাবে গান গেয়েছিলেন সপ্তপর্ণী। তবে এবার তাঁর গান শোনার পরেই শান্তনু বলে উঠলেন, ‘আমার মতে তুমি ইতিমধ্যেই জিতে গেছ’।
এখানেই শেষ নয়, বিচারক আরও জানান, ‘অনেকেই মনে করেন কোরাস গেয়ে কি হবে। তবে এই মেয়েটাকে দেখ, ট্রাই করে এখানে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে শিখে আজ ও গ্রান্ড অডিশনে। আমার মন জিতে নিয়েছ তুমি’। অবশ্য শান্তনু মৈত্র একা নন প্রশংসা করেছেন আরেক বিচারক অন্তরা মিত্রও।
আরও পড়ুনঃ কেমন দেখতে হয়েছে ঋতুপর্ণার মেয়েকে? ‘অযোগ্য’র স্ক্রিনিংয়ে দেখা মিলল মিশুক-ঋষণার
বলিউড তথা টলিউডের বিখ্যাত গায়িকা অন্তরা মিত্রের মতে, ‘তুমি কোরাস গাওয়ার পর প্রতিযোগী হয়েছ। কিন্তু আমি একটা শো-তে টপ ফাইভ প্রতিজ্ঞ হওয়ার পরেও বোম্বেতে একাধিক কোরাস গেয়েছি। আমার মনে হয় কোরাস গাইলে ভীষণ শেখ যায়, ইটা খুবই ভালো শেখার সুযোগ। আমিও অনেক শিখেছি, প্রচুর সিনেমার কোরাস গেয়েছি নিজের গান পাওয়ার আগে’। এরপর তিনি জি বাংলাকে ধন্যবাদ জানান এমন সুন্দর একটা সংস্কৃতিকে তুলে ধরার জন্য।
এদিন আরেক বিচারক জাভেদ আলি বলেন, তখন আমার স্ট্রাগল পিরিয়ড চলছে। সুযোগ আসে দেবদাসের কোরাস গাওয়ার জন্য। দেবদাস ছবির ‘মার ডালা’ এর জন্য কোরাস গেয়েসি আমি। এরপর সঞ্জয় লীলা বনশালির ‘সাওয়ারিয়াঁ’তেও ডাক পড়েছিল যশরাজ স্টুডিওতে। ততদিনে আমার গাওয়া ‘কাজরা রে’ হিট করে গিয়েছে’।
জাভেদ আরও জানান, ছবির ‘দেখো চাঁদ আয়া’ গানের জন্য আমায় কোরাসে দেয়ার করানো হয়েছিল। আমি এক বন্ধুকে ফোন করে বলেছিলাম, আমার একটা গান এসে গেছে তাও আমায় কোরাসে দাঁড় করিয়েছে। তখন সেই বন্ধু জানায়, জাভেদ যা সুযোগ আসবে তাই কাজে লাগা। আমি তেমনটাই করি, তারপর ভগবানের আশীর্বাদে আমি আজ সকলের সামনে।