নিউজশর্ট ডেস্কঃ কন্যা সন্তানদের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার থেকে রাজ্য সরকার একাধিক প্রকল্প লঞ্চ করেছে। বর্তমানে কন্যা সন্তানের জন্মে হলে মোট ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বাবা-মাকে আর্থিক সহায়তা করবে সরকার। স্কুলে ভর্তি হলেই পড়াশোনা শেষ হওয়া পর্যন্ত মিলবে মোটা টাকা। সেই উদ্দেশ্যেই চালু হয়েছে ভাগ্যলক্ষী প্রকল্প (Bhagyalaxmi Scheme)।
ভাগ্যলক্ষী প্রকল্পের দৌলতে কন্যা সন্তান জন্মের সময় থেকেই সরকারের তরফ থেকে ৫০,০০০ টাকার বন্ড দেওয়া হয়। এরপর মেয়ের বয়স ২১ বছর হলে সেই বন্ড থেকেই ২ লক্ষ টাকা রিটার্ন পাওয়া যাবে। শুধু তাই নয় সন্তানের জন্ম দেওয়ার পর মাকেও ৫১,০০০ টাকা দেওয়া হয়। এছাড়াও মেয়ের পড়াশোনার খরচ হিসাবে প্রতিবার ভর্তির সময় ধাপে ধাপে টাকা দেওয়া হয়।
কোন শ্রেণীতে ভর্তি হচ্ছে তাঁর উপর নির্ভর করে টাকার অঙ্ক বাড়তে থাকে। যেমন ষষ্ঠ শ্রেণীর ক্ষেত্রে ৩ হাজার টাকা দেওয়া হয়। এরপর অষ্টম শ্রেণীতে ৫ হাজার টাকা, দশম শ্রেণীতে ৭ হাজার টাকা দেওয়া হয়। দ্বাদশ শ্রেণীতে পড়াশোনার জন্য ৮ হাজার টাকা দেওয়া হয়। এক পরিবারের দুই কন্যাস সন্তানকে এই প্রকল্পের সুবিধা দেওয়া হয়। তবে ভাগ্যলক্ষী প্রকল্পে আবেদনের জন্য কিছু যোগ্যতাও রয়েছে। চলুন সেগুলি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
আরও পড়ুনঃ আর থাকবে না ওয়েটিং লিস্টের ঝামেলা! জব্বর প্ল্যান ভারতীয় রেলের, জানতে পেরেই খুশি দেশবাসী
এই প্রকল্পে আবেদন করতে হলে পরিবারের মাসিক যায় ২০ হাজার টাকার কম হতে হবে। কন্যা সন্তানের জন্মের ৬ মাসের মধ্যেই আবেদন করতে হবে। তবে এই প্রকল্পে বাংলায় নয় বোরন উত্তর প্রদেশ সরকার চালু করেছে। তাই আবেদনকারীকে উত্তর প্রদেশের বাসিন্দা হতে হবে, তবেই আবেদন করা যাবে। সে ক্ষেত্রে ভাগ্যলক্ষ্মী যোজনার অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন করতে হবে।
ভাগ্যলক্ষী প্রকল্পে আবেদনের সময় বেশ কিছু ডকুমেন্ট প্রয়োজন। যেমন মেয়ের বার্থ সার্ফিফিকেট, আঁধার কার্ড, বাবা মায়ের আঁধার কার্ড, ঠিকানার প্রমাণপত্র (রেশন কার্ড / আঁধার), আয়ের শংসাপত্র, চাকরি করলে তার থেকে আয়ের প্রমাণ। আর এসব ছাড়াও যেটা লাগবে সেটা হল মেয়ের সাথে বাবা/মায়ের একটা জয়েন্ট ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট।