নিউজশর্ট ডেস্কঃ Aamir Khan’s 5 Movies Recorded In Box Office: তিরিশ বছরের বেশি সময় ধরে বলিউডে নিজের রাজত্ব বজায় রেখেছেন বলিউড (Bollywood) সুপারস্টার আমির খান (Aamir Khan)। একের পর এক ব্লকবাস্টার হিট উপহার দিয়েছেন সিনেমাপ্রেমীদের। যদিও বিগত কয়েক বছর ধরে তার কোনো ছবি সেভাবে দর্শক মনে জায়গা করতে পারেনি। দঙ্গলের পর আর কোনো ছবি এখনো পর্যন্ত বক্স অফিসে ব্লকবাস্টার হয়নি। তবে সে যাই হোক, নিজের দূর্দান্ত অভিনয়ের দ্বারা সবসময় দর্শকদের মন জিতে নিয়েছেন এই অভিনেতা।
সবসময়ই নতুন নতুন চরিত্রের চ্যালেঞ্জ নিতে দেখা গিয়েছে আমিরকে। একদিকে যেমন রয়েছে গজনী’র মতো ছবি, তেমনই রয়েছে তারে জমিন পর কিংবা লাগান। কমেডি থেকে সিরিয়াস – সব চরিত্রেই তিনি সমান সাবলীল এবং একইসাথে সফলও। কাকা নাসির হুসেনের ‘ইয়াদোঁ কি বারাত’ (১৯৭৩) ছবিতে একজন শিশুশিল্পী হিসাবে তার অভিনয় জীবন শুরু হয়। তবে পেশাগতভাবে তার অভিনয় জীবনের সূচনা হয়েছিলো ১৯৮৪ সালে হোলি ছবির মাধ্যমে। তবে তার জীবনের টার্নিং পয়েন্ট ছিলো ‘কেয়ামত সে কেয়ামত তক’ এই ছবির জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ নবাগত অভিনেতা হিসেবে ফিল্মফেয়ার পুরস্কারও পান। মুভিটিতে এক আবেগপ্রবণ প্রেমিক চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা গেছে আমিরকে, যে নিজের ভালোবাসার জন্য পরিবারের বিরুদ্ধে যেতেও রাজি। এই ছবির পর তাঁকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি।
পরবর্তীকালে ‘জো জিতা ওহি সিকান্দর’ও বক্স অফিসে তুমুল ঝড় তুলেছিলো। এছাড়াও প্রচুর নাম কুড়িয়েছে ‘সরফরাজ’, ‘মন’, ‘দিল’, ‘দিল হ্যায় কি মানতা নেহি’, ‘রঙ্গীলা’ ইত্যাদি মুভির সৌজন্যে। প্রসঙ্গত মাত্র কয়েক বছর আগে ‘দঙ্গল’এর মতো ছবিতে অভিনয় করে সবাইকে চমকে দিয়েছিলেন তিনি। চলুন তাহলে দেখে নেওয়া যাক আমির খানের জীবনের সেরা ৫ টি ছবি, যেগুলিতে বিরাট রেকর্ড গড়েন অভিনেতা।
১) গজনি:- আমির খান ২০০৮ সালের গজনি ছবিতে তার লুক ট্রান্সফর্মেশন দিয়ে সবাইকে অবাক করে দিয়েছিলেন তিনি। সঞ্জয় সিঙ্গানিয়ার ভূমিকায় নিজেকে মানানসই করতে, নিজের চুল কেটে সিক্স প্যাক অ্যাবসও তৈরি করেছিলেন আমির। ছবিটি একটি দক্ষিণী ছবির রিমেক হলেও আমির তার অভিনয়ের দক্ষতা দিয়ে আলাদা মাত্রা এনে দিয়েছিলো এই ছবিতে। বলাইবাহুল্য দর্শকের প্রসংশা এবং বক্স অফিস কালেকশন দুটোই ছিলো আকাশছোঁয়া। তার অভিনয় জীবনের অন্যতম সেরা ছবি এটি।
২) 3 ইডিয়টস:- চেতন ভগতের বই ফাইভ পয়েন্ট সামওয়ান-এর উপর তৈরি এই ছবিতে রাঞ্চো বদলে দিয়েছিল অনেক চলতি ধারণা। বহু প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছিলো সমাজের উদ্দেশ্যে। উল্লেখ্য, এখনও পর্যন্ত বলিউডের ইতিহাসে সর্বাধিক জনপ্রিয় ছবি 3 ইডিয়টস। ২০০৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই ছবিটি আমিরের অভিনয় জীবনের সবচেয়ে বড়ো টার্নিং পয়েন্ট বলেও মনে করেন অনেকে।
৩) তারে জমিন পর :- ২০০৭ সালে এ আমিরের প্রযোজনায় মুক্তি পায় ‘তারে জমিন পর’। এই ছবিতে ডিসলেক্সিয়ায় আক্রান্ত একটি বাচ্চার গল্প আমাদের সামনে তুলে ধরেন তিনি। ডিসলেক্সিয়া নিয়ে যে এমন সুন্দর ছবি হতে পারে তা প্রমাণ করে দিয়েছিলেন আমির খান। এটিও আমিরের অভিনীত সেরা ছবিগুলির মধ্যে একটি। এই ছবিতে তাকে যোগ্য সঙ্গ দিতে দেখা যায় তৎকালীন শিশুশিল্পী ‘দর্শিল সাফারি’কে। ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড জিতেছিল এই সিনেমা । ‘অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডস’-এ ভারতের আনুষ্ঠানিক প্রবেশ এই সিনেমার মাধ্যমে । বলাই বাহুল্য এই ছবিটি বক্স ব্লাস্টার হিট হয়েছিলো বক্স অফিসে।
৪) লাগান:- জীবনের অন্যতম সেরা ছবি বলা চলে এটিকে। ভুবনের হার না মানা জেদকে বিশ্বদরবারে অন্য মাত্রায় নিয়ে গেছিলো আমিরের দূর্দান্ত অভিনয়। ২০০১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই ছবিটি “অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ড ফর বেস্ট ফরেন ল্যাঙ্গুয়েজ”এর জন্য মনোনীত হয়।
৫) দঙ্গল:- ২০১৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই ছবিটিতে কুস্তিগীর মহাবীর সিংহ ফোগটের চরিত্রে অভিনয় করেন আমির খান। দঙ্গল ছবিতে অভিনয়ের সঙ্গে আরও একটি বিষয় দর্শকমহলকে আকৃষ্ট করেছিলো, আর তাই হলো তার লুক। শুধুমাত্র ছবির প্রয়োজনে নিজের ওজন অনেকটা বাড়িয়ে নিয়েছিলেন তিনি।