বিয়ে শেষ হতে না হতেই নতুন বৌ মেয়ে থেকে বদলে হয়ে গেলো ছেলে। সম্প্রতি এমনই অদ্ভুত ঘটনার সাক্ষী রইলো ওড়িশার কেন্দ্রপাড়া। ফেসবুকে ছবিতে চুলের মায়ায় আটকে পড়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনার বাসিন্দা অলোক কুমার। আশ্চর্যজনক এই ঘটনাটি ঘটেছে ওড়িশার ভদ্রক জেলায়। ওড়িশার মেঘনার সাথে ফেসবুক সূত্রে পরিচয় হয় অলোকের। মেসেঞ্জারে হাই হ্যালো পৌঁছে যায় ঘনিষ্ঠতায়। আলাপের দিন কয়েক পরেই একে অপরের প্রেমে পড়েন তারা। মাত্র দুই সপ্তাহের মাথায় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার সিদ্ধান্তও নিয়ে ফেলেন তারা।
মিয়া-বিবি যখন রাজি তখন আর শুভ কাজে দেরি কেন! ঠিক করা হয় ওড়িশা থেকেই শুভ কাজ সম্পন্ন করা হবে। সেই মতো অলোক তার পরিবার নিয়ে পৌঁছে যান ওড়িশায়। অপরদিকে মেঘনাও তার বাড়িতে জানায় নিজের পছন্দের কথা। তার বাড়িতেও শুরু হয় বিয়ের তোড়জোড়।
ঘটনাচক্রে, ওড়িশার জাজপুর জেলার বাসুদেবপুর কাসিয়ায় অলোকের মামার বাড়ি। সেখানেই পারিবারিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। গত ২৪ মে আত্মীয় স্বজনদের নিয়ে বর বেশে ছাদনাতলায় পৌঁছান অলোক। দুই বাড়ির আশীর্বাদের সাথে বিবাহও সম্পন্ন হয়ে যায়। বিয়ের পর পরিবারের পক্ষ থেকে সন্ধে নাগাদ একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আর সেই অনুষ্ঠানেই হয় যত বিপত্তি। নবদম্পতিকে আশীর্বাদ করার আশপাশের মানুষ এবং অতিথিরা আসেন। সেখানেই আসেন এক স্থানীয় মহিলা ৷ হঠাৎ তিনি মেঘনাকে দেখে ‘মেঘনাদ’ বলে ডেকে ওঠেন ৷ তাতেই হতচকিত হয়ে পড়েন অলোক ও তার পরিবার ৷ এমনকি ওই মহিলার দাবি, মেঘনাদ তার ভাইপো। এবং ‘নববধূ’র কীর্তি ওখানেই ফাঁস।
নববধূকে পুরুষের নামে ডাকায় পিলে চমকে যায় সকলের। চাপের মুখে ওই মহিলা জানান, মেঘনা নয়, বধূর আসল নাম মেঘনাদ। সম্পর্কে তার ভাইপো। তাই তিনি ভালো করেই জানেন। “ও তো আমার ভাইপো মেঘনাদ, ও বউ হল কী ভাবে?” মহিলার এমন কথায় আঁতকে ওঠে সকলেই।
এরপরই মেঘনার পরিবারের উপর চড়াও হয় সকলে, চাপ দিতেই জানা যায় “মেঘনা” আসলে “মেঘনাদ”, মেয়েদের মতো লম্বা চুল রেখে নিজেকে মেঘনা ‘সাজিয়ে’ সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেকে মেলে ধরতেন তিনি। এই কথা শোনার পরই উত্তেজিত জনতা মেঘনাদের পোশাক খুলে দেয় হয়। রাগের বশে চুলও কেটে দেওয়া হয় তার। খবর পেয়ে পুলিশ এসে উত্তেজিত জনতার হাত থেকে মেঘনাদ ও তার পরিবারকে উদ্ধার করে।