নিউজশর্ট ডেস্কঃ সামনেই আসছে শীতকাল। এই শীতকাল মানে পিকনিক থেকে শুরু করে নানা রকমের উৎসব, বছর শেষে বিভিন্ন জায়গায় মেলা, আর ঘুরতে যাওয়ার পালা। হাতে সময় কম থাকলেও এই সময় ঘুরতে(Travel) যাওয়া মিস করতে পারেন না ভ্রমণ পিপাসু পর্যটকেরা। আপনার হাতে যদি মাত্র দু’দিনের ছুটি থাকে তাহলে ঘুরে আসতে পারেন এই অফবিট(Offbeat Destination) পাহাড়ি গ্রাম থেকে।
পাহাড়ের কোলে মিরিকের কাছে ছোট্ট এই গ্রাম অপেক্ষায় যেন বসে রয়েছে পর্যটকদের জন্য। সারা সপ্তাহের ক্লান্তি মিটিয়ে দু’দিনের ছুটিতে ঘুরে আসার আদর্শ স্থান হতে পারে বুংকুলাং(Bungkulung)। শিলিগুড়ি থেকে ৪৮ কিলোমিটার দূরে গেলেই এই অপরূপ গ্রামের সৌন্দর্য দেখতে পাবেন আপনি। এখানে যেদিকেই তাকাবেন সেদিকেই চারিদিকে সবুজে মোড়া ঘন জঙ্গল আর পাহাড়। এটি মূলত একটি কৃষি হাব। চাষের জমি ছাড়াও বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে সবুজে মোড়া গাছপালায় ভরা এলাকা।
এখানে প্রায় ১৯ টি পুকুর রয়েছে যেখানে মাছের চাষ করা হয়। এখানেই রয়েছে বালাসন ও মুর্মুহ নদী। এখানে যাওয়ার জন্য আলাদা কোন সময়ের প্রয়োজন হয় না। বছরের যে কোন সময়ে এই এলাকায় ঘুরে আসতে পারেন। তবে বর্ষাকালে এই এলাকার ভিড় একটু বেশিই হয়। এখানে আশেপাশে ঘোরার মত জায়গা বলতে গ্রাম্য এলাকা, প্রত্যেকটি বাড়ির সামনে ফুল এবং অর্কিডের বাগানের দেখা মেলে। আপনি পায়ে হেঁটেই পুরো গ্রামটা ঘুরে দেখতে পারেন।
মানুষের ভিড় এড়িয়ে নিরিবিলিতে সময় কাটাতে চাইলে এটি একেবারেই আদর্শ জায়গা। এখানে আপনার সকালে ঘুম ভাঙবে পাখির ডাকে। এখানে বেশ কিছু চা বাগান আছে। যেই জায়গা আপনি পায়ে হেঁটেই দেখতে পারেন। আর রয়েছে বোকার মনেস্ট্রি যেখানেও আপনি চাইলে ঘুরে আসতে পারেন।
কিভাবে যাবেন?
শিয়ালদা থেকে ট্রেনে করে প্রথমে শিলিগুড়ি যান। সেখান থেকে গাড়ি বুক করে শিলিগুড়ি-মিরিক হাইওয়ে ধরে ৪৮ কিলোমিটার গেলে পৌঁছে যাবেন । আর আপনি যদি নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে যান সেখান থেকেও যেতে পারেন সে ক্ষেত্রে সময় লাগবে ঘন্টা দেড়েক মত।
কোথায় থাকবেন?
এখানে থাকার জন্য একাধিক হোমস্টে রয়েছে। সেখানে নেপালি লোকসংস্কৃতির অনুষ্ঠানের ও আয়োজন করা হয়। আর আশেপাশের জায়গা ঘুরে দেখার জন্য গাড়ির ব্যবস্থা আছে। এখানে প্রচুর রকমের রকমারি খাবার খেতে পারবেন আপনি।