নিউজশর্ট ডেস্কঃ প্রতিদিন বেড়েই চলেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম। বিশেষ করে বাজারে গেলে সবজি কিনতে গিয়ে ছেঁকা লাগছে দরিদ্র ও মধ্যবিত্তের। এমনকি বাঙালির খাবার যেটা ছাড়া অচল, সেই আলুর দামও ৪০ টাকা কেজি ছুঁয়েছে। এরইমধ্যে নতুন বিপদ আলু ব্যবসায়ী সমিতির ডাকা কর্মবিরতি। শেষমেশ পরিস্থিতি সামাল দিনে নিজেই বড় ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কিছুদিন আগেই বাইরের রাজ্যে আলু রফতানি নিয়ে পুলিশের বাঁধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলেন ব্যবসায়ীরা। ট্রাকে করে আলু নিয়ে যাওয়ার সময়ে পুলিশি হেনস্থার হতে হচ্ছিল। এর প্রতিবাদে ২০ জুলাই থেকে কর্মীবিরতির ডাক দিয়েছিল প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতি।
সেই সময় কৃষি বিপণন মন্ত্রী বেচারাম মান্না, পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদাররা মাইল বৈঠক করে ৫ দিনের মাথায় কর্মবিরতি তোলার ব্যবস্থা করেন। তবে তাতে সমস্ত সমস্যা মেটেনি। যার জেরে ফের সপ্তাহের শুরুতে সোমবারেই কর্মবিরতি ঘোষণা করেছে প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতি। যার জেরে আজ অর্থাৎ মঙ্গলবারই এমার্জেন্সি বৈঠক ডাকা হয় নবান্নে।
এদিন নবান্নের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আলু ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে কৃষি বিপণন মন্ত্রী বেচারাম মান্না, বিভিন্ন জেলার জেলাশাসক থেকে শুরু করে ট্যাক্স ফোর্সের আধিকারিকেরা। এরপর সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাজির হয়ে আলুর রফতানি নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নেন। আগামীকাল অর্থাৎ বুধবার থেকেই আলু রপ্তানি করা যাবে ভিন রাজ্যে জানিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে আগামী একসপ্তাহ রাজ্যে আলুর দামের উপর নজর রাখা হবে। তারপর আবারও নতুন করে বৈঠক হবে বলে জানা যাচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ হাইকোর্টের আদেশে বাতিল OBC সার্টিফিকেট, তারপরেও কি মিলবে স্কলারশিপের টাকা?
প্রসঙ্গত, রাজ্যে আলুর দাম অত্যাধিক বেড়ে যাওয়ায় রফতানির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই ঘোষণার পরেই সমস্যা শুরু হয় আলু ব্যবসায়ীদের। যার জেরে ধর্মঘট শুরু হয়েছিল। তবে আপাতত সেই পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়েছে। তবে আগামী দিনে কি হয় সেটাই দেখার।