নিউজশর্ট ডেস্কঃ বাঙালি পর্যটকদের কাছে সস্তায় এবং অল্প সময়ের মধ্যে ঘোরার জন্য সবথেকে পছন্দের জায়গা হল দীঘা(Digha)। চট করে প্ল্যানিং করে হোটেলে বুকিং(Hotel Booking) করে বেরিয়ে পড়া যায় দীঘার উদ্দেশ্যে। তবে এবার দীঘা যেতে হলে বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। গত দু’বছর ধরে দীঘা এবং মন্দারমনিতে অপরাধের প্রবণতা বেড়েছে।
পুলিশের রেকর্ড অন্তত এমনটাই বলছে। বহু হোটেল, রিসোর্ট থেকে যুবক-যুবতীর দেহ উদ্ধার হয়েছে। এর পাশাপাশি সৈকতের ধারেও রঙিন ব্যবসার প্রবণতা বেড়েছে। এছাড়া মধুচক্রের সংখ্যাও অনেক বেরিয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এই মধুচক্রের জন্য বহু যুবক-যুবতী ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আর তাই এই প্রবণতা বন্ধ করার জন্য কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে পুলিশ। এবার থেকে চাইলেই চট করে হোটেল বুকিং পেয়ে যাবেন না পর্যটকেরা। পর্যটকদের সমস্ত নথি থাকবে হোটেল, রিসোর্ট কর্তৃপক্ষের কাছে। আর হোটেল রিসোর্ট কর্তৃপক্ষকে তার পর্যটকদের সমস্ত ডিটেলস পোর্টালে আপলোড করতে হবে. সেই সমস্ত ডিটেলস-তথ্যও পুলিশের কাছে চলে যাবে। পর্যটক তথ্যে ও অপরাধ দমন সহ নিরাপত্তা জোরদার দিতেই এবার ‘অতিথি’ পোর্টাল চালু করা হয়েছে।
পুলিশের তরফ থেকে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই অতিথি পোর্টাল চালু করার জন্য চিন্তাভাবনা করা হচ্ছিল। এবার দীঘা সহ অন্যান্য পর্যটন কেন্দ্র গুলির হোটেলের ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে এই অতিথি পোর্টাল চালু হলো। সমস্ত হোটেল, লজ, গেস্ট হাউস, পেয়িং গেস্টদের সম্পূর্ণ রেকর্ড বজায় রাখার জন্য এই পোর্টাল চালু করা হয়েছে।
পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার সৌম্যদীপ ভট্টাচার্য জানিয়েছেন যে অতিথি পোর্টাল এর আগে পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে চালানো হচ্ছিল। এর মধ্যে রয়েছে দিঘা, মন্দারমনি, শঙ্করপুর হোটেল ও রিসোর্ট। যে সমস্ত পর্যটকরা আসবেন সঙ্গে সঙ্গে অতিথি পোর্টালে তাদের সমস্ত তথ্য আপলোড করতে হবে। যদি কোন হোটেল মালিক তথ্য গোপন করে তাহলে তার বিরুদ্ধে কড়া আইনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।