মানতেন ডায়েট, কব্জি ডুবিয়ে খাওয়ার বদলে রোজ এই বিশেষ পদটি খেতেন উত্তম কুমার

নিউজশর্ট ডেস্কঃ বাঙালীর মননে আজও বর্তমান উত্তম কুমার(Uttam Kumar)। তার প্রতি ভালোবাসা দর্শকদের এখনো আছে। উত্তম কুমার সম্পর্কে এমন অনেক অজানা কাহিনী রয়েছে। আজকে এমনই এক খাননি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। মহানায়ক বেশ ভোজনবিলাসী ছিলেন। প্রতিদিন নানা রকমের পদে খাবারের টেবিল সাজিয়ে রাখতেন উত্তম নায়িকা সুপ্রিয়া দেবী। আর এই টেবিল দেখে চমকে যেতে স্বয়ং উত্তম কুমার।

তিনি আবার রসিকতা করে বলতেন, ‘নিত্য নতুন পথ বানাতে গিয়ে তোমার ভাড়ার তো শূন্য বেনু?’ সুপ্রিয়া দেবী নানারকম খাবারের আয়োজন করে উত্তম কুমারকে খাওয়াতেন। যে তালিকায় ছিল মাছ, মাংস, আমিষ,নিরামিষ। সঙ্গে ছিল ফল ও মিষ্টি। অভিনেতা এতই বেশি খুঁতখুঁতে ছিলেন যে খাবারের পদ থেকে সন্তুষ্ট হলে তবেই চেয়ার টেনে খেতে বসতেন। তার মৃত্যু দিনে এই অজানা তথ্য শেয়ার করেছেন চার দশকের রূপটাণশিল্পী কিশোর দাস।

তবে এত ভোজন বিলাসী হওয়া সত্ত্বেও মহানায়ক কিন্তু খুব মেপে খেতেন। কারণ তার শরীরের গঠন ঠিক রাখতে হবে। সব পদেই অল্প অল্প করে চোখে দেখতেন। আর খাওয়ার শেষে মিষ্টি চাই….চাই। আপনারা নিশ্চয়ই ভাবছেন যিনি শরীর নিয়ে এত সচেতন তিনি কিভাবে মিষ্টি খেতেন! উত্তম কুমার রোজ একটি করে রসগোল্লা খেতেন।  আর এই রসগোল্লার সঙ্গে মাখিয়ে নিতেন নুন।

আর এভাবে মিষ্টি খাওয়ার কারণ হলো সরাসরি মিষ্টি খাবেন না। তাই নুন মাখানো রসগোল্লা তো আর মেদ বা সুগার বাড়াবে না। তবে শুধু খাওয়া নিয়ে নয় পোশাক নিয়েও ভীষণ খুঁতখুঁতে ছিলেন মহানায়ক। পোশাকের ক্ষেত্রে তিনি সবসময় মনের কথা শুনতেন। তার মন চাইলে তিনি বাঙালি বাবু, কোনদিন আবার স্যুট প্যান্ট টাইতে সাহেব সাজতেন। অর্থাৎ তিনি যে মহানায়ক তার সাজ পোশকেও সবসময় থাকতো নানা চমক।

Avatar

Papiya Paul

X