দেশের (India) শ্রমজীবী (Labour) মানুষদের একটু আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করে তোলার জন্য নতুন প্রকল্প চালু করেছে ভারত সরকার। আর এই প্রকল্পে কেন্দ্রীয় (Central Government) সরকারের পাশাপাশি হাত লাগিয়েছে রাজ্য সরকারও। দেশের নিম্নবিত্ত, গরিব, পিছিয়ে পড়া মানুষদের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার এনেছে ‘ই শ্রম কার্ড’ (E Shram Card)।
আসলে আমাদের দেশের সংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকরা (Organised Sector Labour) তবু কিছুটা সঞ্চয় করার সুযোগ পান। কিন্তু অসংগঠিত ক্ষেত্রের বহু শ্রমজীবী (Unorganised Sector Labour) মানুষ সেই অর্থে কোনো সুবিধাই ভোগ করতে পারেন না। না আছে নিয়মিত কাজ আর না আছে মাসিক বেতন।
অর্থাৎ যতদিন তাদের কর্মক্ষমতা ততদিনই তাদের রুজিরোজগার। এমতাবস্থায় কোনো শারিরীক সমস্যা হলে তো আর কোনো কথাই নেই। অতিরিক্ত টাকা পাওয়া তো দূরের কথা, দিন গুজরানের টাকাটুকুও জোগাড় করে উঠতে পারেনা সবাই। এবার সরকার সেই দরিদ্র ও শ্রমজীবী মানুষদের জন্যই নিয়ে এসেছে E Shram Card প্রকল্প।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০২২ সকলের ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই প্রায় ২৮ কোটি রেজিস্ট্রেশন (E Shram Card self registration Online) হয়ে গিয়েছে। এখানে আরো একটা বিষয় জানিয়ে রাখি, ই শ্রম পোর্টালে (E Shram Card Portal) নাম নথিভূক্ত করতে গেলে আধার কার্ড (Aadhaar Card) থাকতে হবে।
পাশাপাশি প্রয়োজন নিজস্ব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। যাদের আধার লিঙ্ক মোবাইল নম্বর নেই, তারা কাছাকাছি কোনো সি এস সি (CSC) কেন্দ্রে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন। তবে মাথায় রাখবেন, সরকারের অন্য কোনো পেনশন স্কীম এর আওতায় যদি আগে থেকে পেনশন বা কোনো টাকা পেয়ে থাকেন, তাহলে তিনি এই E Shram Card শ্রম কার্ডের আওতায় নাম তুলতে পারবেন না।
এক্ষেত্রে, কোনো দূর্ঘটনা ঘটলে তার জন্য প্রায় ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বীমা কভারেজ পেয়ে যাবেন। আবার যদি কেউ আংশিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হন তাহলে তিনি ১ লক্ষ টাকার কভারেজ পেয়ে যাবেন।
কিভাবে এই শ্রম কার্ডের জন্য পোর্টালে রেজিস্ট্রেশন করবেন : প্রথমেই এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট গিয়ে রেজিস্ট্রেশন (Registration) অপশন খুলুন। এরপর On E Labour অপশনে ক্লিক করুন। সেখানে আপনার আধার লিঙ্ক মোবাইল এবং ক্যাপচা লিখুন। মোবাইলে আসা OTP নির্দিষ্ট জায়গায় বসাতে হবে। এরপর বিস্তারিত তথ্য দিয়ে প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করুন। রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়ে গেলেই স্ক্রিনে সেই লেখা ফুটে উঠবে।