বাঙালির বেড়ানো মানেই, দী-পু-দা। তবে গরমকালে দীঘা(Digha) পুরি(Puri) মানেই কাঠফাটা গরম আর রোদ। এমতাবস্থায় বাকি রইল বাঙালির সবে ধন নীলমণি দার্জিলিং(Darjeeling)। তবে এই শহরের জনপ্রিয়তা যেমন বাড়ছে তেমনই বাড়ছে জনঘনত্ব। এখন অনেকেই চাইছেন অফবিট দার্জিলিং। আজ তেমনই কিছু জায়গার সন্ধান রইল আমাদের প্রতিবেদনে।
আমাদের আজকের গন্তব্য হল ধোত্রে। দার্জিলিংয়ের আর পাঁচটা পাহাড়ি গ্রামেরই একটা হল ধোত্রে। এমতাবস্থায় প্রশ্ন আসতে পারে, এখানে আলাদা কী আছে? তাহলে জানিয়ে রাখি, এই গ্রাম থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘার ফুল ভিউ পাবেন আপনি। তার সাথে বোনাস হিসেবে রয়েছে নানা ধরনের পাখির কলতান।
এখানে রয়েছে ট্রেকিংয়ের সুযোগও। দার্জিলিং থেকে ৪৩ কিমি দূরে অবস্থিত এই গ্রামটি সিঙ্গালিলা ন্যাশনাল ফরেস্টের বাফার জোনের মধ্যে পড়ে। নাম না জানা হরেক রকম পাখি ভিড় করে এখানে। মানেভঞ্জন পর্যন্ত এসে সেখান থেকে গাড়ি বদলে অথবা সরাসরি এনজিপি ও বাগডোগরা থেকে গাড়িতে পৌঁছে যাবেন ধোত্রে।
আমাদের দ্বিতীয় ডেস্টিনেশন হল তাকদা। অপরূপ রূপবতী তাকদা ছিল ব্রিটিশদের পছন্দের জায়গা। সামনে চা বাগানের সৌন্দর্য এবং পেছনে পাহাড়ের চুড়া। দার্জিলিং থেকে ২৮ কিমি দূরে অবস্থিত এই ছোট্ট পাহাড়ি গ্রামের নির্জনতা আপনার মন কাড়বেই কাড়বে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কথিত আছে লেপচা শব্দ তুকদা থেকে এসেছে তাকদা শব্দটি। যার অর্থ হল কুয়াশা। আর মজার বিষয় হল, গ্রামটি সত্যিই কুয়াশায় মোড়া। যার কাছেই রয়েছে পুবাং চা বাগান এবং শতবর্ষপ্রাচীন ঝুলন্ত ব্রিজ। একটু এগোলেই দুরপিনদারা ভিউ পয়েন্ট। সেখান থেকে দেখা যায় তিস্তা নদীর স্রোত।
এখান থেকে মাত্র ৩ কিমি দূরে রয়েছে তিনচুলে। এখানকার দুটি জিনিস বিখ্যাত, একটি হল বরফের মুকুট পরা কাঞ্চনজঙ্ঘা, অন্যটি হল কমলালেবুর বাগান। এখানকার ভিউ এঞ্জয় করে চলে যেতে পারেন লামাহাটা। এই জায়গার সৌন্দর্যের কথা না হয় আরেকদিন শোনাবো। এখন বরং ধোত্রে থেকেই ঘুরে আসুন।