নিউজশর্ট ডেস্কঃ সকলেই নিজেদের বৃদ্ধ বয়সে একটু সুখ-আনন্দে সময় কাটাতে চান। কিন্তু তার জন্য প্রয়োজন হয় যথেষ্ট পরিমাণ টাকার। নিজের কাছে টাকা থাকলে আর কারোর ওপর নির্ভর হতে হয় না। আর এই টাকা পাওয়ার জন্য যথেষ্ট পরিমাণ সঞ্চয় করারও দরকার হয়।
তাই নিজের চাকরির জীবন যেদিন থেকে শুরু হচ্ছে সেদিন থেকেই কিছু কিছু টাকা সঠিকভাবে সঞ্চয়ের করলে ভবিষ্যতের জন্য তহবিল তৈরি করা যায়। ভবিষ্যতে এই টাকা দিয়েই নিজের বাকি জীবনটা কাটিয়ে ফেলতে পারবেন। তবে এটাও মনে রাখতে হবে যে বর্তমান মুদ্রাস্ফীতির বাজারে শুধুমাত্র সঞ্চয় করলেই হবে না। যথেষ্ট বিচক্ষণতার সঙ্গে ভালো জায়গায় অর্থ বিনিয়োগ করতে হবে।
বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে যদি কোন ব্যক্তি চান প্রত্যেক মাসে ১ লক্ষ টাকা পেতে তাহলে অবসরকালে পেনশনের(Pension Scheme) জন্য তাকে কত টাকা জমা করতে হবে! এই হিসাবটা একটু জটিল হলেও একবার দেখে নিতেই পারেন। ভবিষ্যতের অর্থ জমানোর ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য স্কিম হল ন্যাশনাল পেনশন স্কিম(National Pension Scheme)।
তাই চাকরি জীবনের শুরু থেকেই অল্প অল্প সঞ্চয় করে যে কোন ব্যক্তি একটি মোটা অংকের টাকা জমা করে ফেলতে পারে। আর বর্তমানের মুদ্রাস্ফীতির কথা ভেবে প্রত্যেক মাসে এক লক্ষ টাকা কিভাবে পাওয়া যাবে সেই ব্যবস্থা করা ভীষণ জরুরি। SBI-এর পেনশন ফান্ডের NPS ক্যালকুলেটর অনুযায়ী, যদি কোন ব্যক্তি ৬০ বছর বয়সে প্রত্যেক মাসে এক লক্ষ টাকার পেনশন চান, তাহলে তাকে ২১ বছর বয়স থেকেই বিনিয়োগ শুরু করতে হবে।
আর এই বিনিয়োগের পরিমাণ হবে ১০ হাজার টাকা। ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত যদি অর্থ সঞ্চয় করতে পারেন তাহলে অর্থের পরিমান গিয়ে দাঁড়াবে ৪৬.৮০ লক্ষ টাকা। এর ওপরে মিলবে ১০% রিটার্ন। প্রায় ৩৯ বছর পর যখন মেয়াদপূর্তি হবে তখন তার বিনিয়োগের পরিমাণ গিয়ে দাঁড়াবে ৫.৬২ কোটি টাকা। এর ওপরে আবার ৪০ শতাংশ অ্যানুইটি ক্রয় করতেই হবে।
সেক্ষেত্রে প্রায় ২.২৫ কোটি টাকা অ্যানুইটি থাকবে। এই হিসেব যদি সঠিকভাবে বজায় রাখা যায় তাহলে একজন বয়স্ক ব্যক্তি তহবিলে ৬ শতাংশ হারে প্রত্যেক মাসে ১,১২,৪৫৮ টাকা পেনশন হিসাবে পাবেন।