কলা চিপস,ব্যবসা,লাভ,Banana Chips,Business,Profit

Moumita

স্বাদে গুনে ভরপুর, চাহিদাও ব্যাপক, মোটা টাকার লাভ করতে চাইলে আজই শুরু করুন এই ব্যবসা

আলু চিপসের পাশাপাশি কলার তৈরি চিপসও ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। যদি কেউ এটিকে ব্যবসা হিসেবে গ্রহণ করতে চায় তো বলাইবাহুল্য রাতারাতি ভালো মুনাফার মুখ দেখবে তারা‌। আলুর চিপসের থেকে কলার চিপস স্বাস্থ্যের জন্য বেশি ভালো তাই বাজারে এর চাহিদাও প্রচুর ৷ বর্তমানে স্ন্যাকস হিসেবে ভারত ছাড়া বিদেশিদের মধ্যেও ব্যাপক সমাদর পাচ্ছে এটি। তাই সঠিক পদ্ধতি এবং সঠিক মডেল অনুসরণ করতে পারলে ব্যবসা হবে ভালোমতোই।

   

কেন কলা চিপসের ব্যবসা লাভবান হতে পারে

আজকের ব্যস্ত লাইফস্টাইল, স্ট্রেসফুল জীবনের মধ্যে নিজেকে ফিট রাখতে মানুষ চেষ্টা করছে যতটা সম্ভব স্বাস্থকর খাবার খাওয়া যায়। যদিও অ্যাভয়েড করতে চাইলেও আলুর চিপস আমাদের দৈনন্দিন খাবারের তালিকায় রয়েই যায়। এমতাবস্থায় যদি তার বিকল্প কিছু বাজারে আসে যার স্বাস্থগুণ বেশি, মানুষ যে সেটাকেই বেছে নেবে তা বলাই বাহুল্য। জানিয়ে রাখি, করার মধ্যে পটাশিয়াম পাওয়া যায়, যা হার্টবিট স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। এর পাশাপাশি দুর্বলতা, ক্লান্তি, ব্যথা ও নার্ভাসনেসের সমস্যাও দূর করে।

এছাড়াও বর্তমান দিনে আলু চিপসের বড়ো ব্র্যান্ড থাকলেও কোনো বড়ো ব্র্যান্ড কলা চিপস তৈরি করেনা। এই কারণেই এই ব্যবসায় বেশি লাভের সুযোগ রয়েছে। তবে ব্যাবসা করার আগে বেশ কিছু জিনিস ভালো করে জেনে নেওয়া দরকার, সাথে প্রয়োজন কিছু গুরুত্বপূর্ন নথির। উল্লেখ্য, বর্তমান দিনে ব্যাবসার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো প্যাকিং, প্রোডাক্টের গুনগান এবং যথার্থ দাম।

১) FSAAI এর লাইসেন্স: যেহেতু এটি একটি খাদ্য সামগ্রীর ব্যবসা, তাই সবার আগে প্রয়োজন পড়বে FSAAI এর লাইসেন্স।

২) জিএসটি শংসাপত্র: একথা তো সকলেই জানেন যে, বর্তমান দিনের যে কোনো ব্যাবসার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হলো GST সাইটে গিয়ে নাম নথীভুক্ত করা। একবার GST শংসাপত্র হাতে পেয়ে গেলে প্রতিমাসে GST ফাইল করতে পারবেন আপনি।

৩) ট্রেড লাইসেন্স: এরপরই স্থানীয় পৌরসভার কাছে গিয়ে একটি ট্রেড লাইসেন্স জোগাড় করে নিন। কারণ ব্যবসা করতে গেলে ব্যবসায়িক লাইসেন্স তো লাগবেই।

৪) MSME তে নাম নথিভুক্তকরন: ব্যবসার জন্য প্রয়োজন পুঁজি, আর তার জন্য সরকার বিভিন্ন ধরণের ভর্তুকি এবং বিভিন্ন ধরনের তহবিল, ঋণ বা অন্যান্য সরকারি প্রকল্প দিয়ে থাকেন। এইসবের জন্য MSME তে নাম নথিভুক্ত করা আবশ্যক।

৫) ফুড বিজনেস অপারেটর লাইসেন্স: যেহেতু এটি খাদ্য সংক্রান্ত ব্যবসা তাই ফুড বিজনেস অপারেটরের লাইসেন্স ভীষণ রকম গুরুত্বপূর্ণ।

এরপর প্রয়োজন চিপস তৈরি সরঞ্জাম। প্রথমেই যা প্রয়োজন তাই হলো, কাঁচা কলা, ভোজ্য তেল,
পিলার,স্লাইসার, চিপস ভাজার জন্য মেশিন, প্যাকিং মেশিন, মিক্সার। ব্যাস এইকটি মেশিন থাকলেই ব্যবসা শুরু করা সম্ভব। জানিয়ে রাখি মেশিনগুলির জন্য মোট খরচ হবে প্রায় ২৮ থেকে ৩০ হাজার টাকা যা প্রায় সাধ্যের মধ্যেই। অনলাইনে কিনতে চাইলে Indiamart.com ওয়েবসাইটি ভিজিট করতে পারেন, অবশ্য অফলাইনেও পাওয়া যায় এই মেশিন। তবে এই মেশিনগুলো বসাতে প্রয়োজন ৫ থেকে ৬ হাজার বর্গফুট জায়গা।