নিউজ শর্ট ডেস্ক: বছরভর ভ্রমণ (Travel) পিপাসু বাঙালির পায়ের তলায় থাকে সর্ষে। তাই দু-তিন দিনের ছুটি পেলেই ব্যাস, ব্যাগ-পত্র গুছিয়ে কর্মব্যস্ত জীবন থেকে ছুটি নিয়ে সকলেই বেরিয়ে পড়েন ঘুরতে। শীত-গ্রীষ্ম হোক কিংবা বর্ষা ভ্রমণ পিপাসুদের ঘুরতে যাওয়ার জন্য কোন নির্দিষ্ট মরসুমের দরকার পড়ে না।
আর বাঙালির এই ‘উঠলো বাই তো কটক যাই’ স্বভাবের জন্য মন করলেই অল্প কয়েক দিনের জন্য ঘুরতে যেতে বেরিয়ে পড়েন ভ্রমণ পিপাসুরা। তবে বেশিরভাগ মানুষেরই ঘুরতে যাওয়ার জন্য দারুন পছন্দের একটি জায়গা হল পাহাড়। আর সামনেই আসছে রঙের উইৎসব দোল (Dol)।
আর এই দোলে ঘুরতে যাওয়ার জন্য সকলেরই প্রথম পছন্দ হয়ে থাকে শান্তিনিকেতন কিংবা পুরুলিয়া মতো জায়গা গুলি।কিন্তু হোলি উপলক্ষ্যেও যে বা যারা অফবিট জায়গাতেই ঘুরতে যেতে চাইছেন আজ তাদের সন্ধান দিতে চলেছি অত্যন্ত মনোরম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর এমনই এক পাহাড়ি গ্রামের।
এই গ্রামটি আসলে কাঞ্চনজঙ্ঘার কোলেই অবস্থিত কালিম্পংয়ের (Kalimpong) পাবং (Pabong)। সারি সারি পাইন গাছের জঙ্গলে ঘেরা শান্ত নিরিবিলি এই ছোট্ট জনপদ থেকেই নজরে আসে পরিষ্কার ঝকঝকে আকাশ, আর তুষারাবৃত কাঞ্চনজঙ্ঘা। এমনিতে সারাবছরই এখানকার সৌন্দর্য দেখে ক্লান্তি দূর হলেও বসন্তে এই পাবং যেন আলাদাই রূপ ধারণ করে।
আরও পড়ুন: ভারতের সবচেয়ে সুন্দর ৯ টি রেলস্টেশন! এখানে গেলেই হবে স্বর্গ দর্শনের অনুভূতি
বিশেষ করে প্রজাপতি প্রেমীদের জন্য এই জায়গাটি একেবারে আদর্শ। সেইসাথে এখানকার রংবেরঙের ফুল দেখলেই জুড়িয়ে যায় মন প্রাণ। কালিম্পং শহর থেকে এই জায়গাটা অনেকটাই উঁচুতে অবস্থিত। তাই গরম কালেও এখানে ভালোই ঠান্ডা হওয়া অনুভব করা যায়। এখান থেকে খুব কাছেই রয়েছে লাভা, লোলেগাঁও, রিশপ, কিংবা চারখোল-এর মতো জায়গা।
তবে এলাকাটি অত্যন্তশান্ত আর নিরিবিলি। নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে এই পাবংয়ের মোট দূরত্ব ৭৫ কিলোমিটার। এখানে পৌঁছাতে সময় লাগে প্রায় ৪ ঘন্টা। এখানে থাকার জন্য একমাত্র ভরসা হোম-স্টে। খরচ সাধারণ হোমস্টের মতোই। অর্থৎ থাকা খাওয়া মিলিয়ে মোট খরচ হয় ১৫০০- ২০০০ টাকা।