পার্থ মান্নাঃ প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ মানুষ ট্রেনের মাধ্যমে যাতায়াত করেন। বিশেষ করে উৎসবের মরশুমে দূরপাল্লার ট্রেনের উপর অত্যাধিক পরিমাণ চাপ পড়ে যায়। কারণ এই সময় বিভিন্ন জেলা ও রাজ্য থেকে বাড়ি ফেরেন সকলে। টিকিট না পাওয়ার কারণে একদিকে যেমন বিনা টিকিটে বা নরমাল টিকিটে এসি কোচে প্রচুর যাত্রীদের উঠতে দেখা যায়। তেমনি জেনারেল বগিতে অমানবিক ভিড় লক্ষ করা যায়।
যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যে বড় পদক্ষেপ ভারতীয় রেলের!
তবে এবার এই সমস্যার সমাধানে বড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে ভারতীয় রেল। এই মুহূর্তে রাজধানী, শতাব্দী সহ প্রায় দশ হাজার এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচল করে। যার মধ্যে প্রায় ২ কোটি মানুষ সফর করছেন প্রতিদিন। কিন্তু জানলে অবাক হবেন মাত্র ১০% মানুষই সংরক্ষিত অর্থাৎ স্লিপার বা এসি কোচগুলিতে সফর করেন। বাকি ৯০ শতাংশ মানুষই জেনারেল বগিতে যাতায়াত করেন। আর উৎসবের সময় এই সংখ্যা আরও কয়েক গুণ বেড়ে যায়। তাই জেনারেল বগির যাত্রীদের যাত্রা আরও উন্নত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।
সাধারণত একটিএসি কোচ বা সংরক্ষিত কোচে মোট যাত্রীর সংখ্যা থাকে ৭২ জন। এরসাথে ব্যাটিং লিস্ট জুড়লে যাত্রী সংখ্যা হয় ৮০। অথচ জেনারেল কোচে এই সংখ্যাটাই ২৫০ বা তারও বেশি হয়ে যায়। এই কারণেই দীর্ঘদিন ধরে ক্যাপাসিটি পরিমাপ করে এসি বসানো সম্ভব হচ্ছিল না। কিন্তু এবার নতুন ধরণের কোচে ২৭০ জন যাত্রী ধারণের মত অ্যাক্সেল লোড থেকে শুরু করে ১৫টন ওজনের দুটি ইউনিট বসানো হবে বলে জানা যাচ্ছে। এতে করে জেনারেল কোচেও বাতানুকূল পরিবেশ পাওয়া যাবে।
আরও পড়ুনঃ আর নয় ৫০, এবার তোলা যাবে সোজা ১ লক্ষ! পুজোর আগেই সরকারি কর্মীদের সুখবর শোনাল কেন্দ্র
জেনারেল কোচেও বসবে পাওয়ারফুল এসি
কিছুদিন হল ভুজ ও আমেদাবাদ রুটে চালু হয়েছে নমো ভারত র্যাপিড রেল। সেই কোচের মত করেই তৈরী করা হবে নতুন কোচগুলিকে। যা শতাব্দী ও রাজধানীর মত প্রিমিয়াম ট্রেন ও এক্সপ্রেস ট্রেনের সাথে জুড়ে চালানো হবে। এক্সপ্রেস ট্রেনে এসি কোচে যেখেনে ৮ টন ওজনের দুটি এসি থাকে। সেখানে নতুন জেনারেল কোচগুলিতে ১৫ টনের দুটি এসি ইউনিট বসানো হবে যাতে সবটা ভালো করে ঠান্ডা করা যায়। এতে করে রিজার্ভেশন না পেলেও কিছু অতিরিক্ত খরচ করলেই জেনারেল কোচে আরামদায়ক সফর করতে পারা যাবে।