Indian Railway Plans to get rid of Waiting List by 2030

Partha

আর থাকবে না ওয়েটিং লিস্টের ঝামেলা! জব্বর প্ল্যান ভারতীয় রেলের, জানতে পেরেই খুশি দেশবাসী

নিউজশর্ট ডেস্কঃ ভারতবর্ষের মানুষের যাতায়াতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি মাধ্যম হল রেলপথ। প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ মানুষ ভারতীয় রেলের (Indian Railways) সাহায্যে নিজের গন্তব্যে পৌঁছে যান। কর্মস্থল যাওয়া থেকে ভ্রমণ, কম খরচে যাতায়াতের জন্য সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম এটি। সেই কারণেই রেলকে ভারতের ‘লাইফলাইন’ বলা হয়। তবে সময়ের সাথে সাথে দেশের জনসংখ্যা যে হারে বৃদ্ধি পেয়েছে সেভাবে ট্রেনের সংখ্যা বাড়েনি। তাই দূরপাল্লার ট্রেন বা এক্সপ্রেসের টিকিট বুকিয়ের ক্ষেত্রে ওয়েটিং লিস্ট এর সমস্যা (Waiting List Problem) বেড়েই চলেছে।

   

ইতিমধ্যেই ভারতীয় রেল যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে, তবে এবার আরও নতুন পরিকল্পনা প্রকাশ্যে এল। বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে অনলাইনে হোক বা অফলাইনে কনফার্ম টিকিট পাওয়া রীতিমত ঝামেলা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই এই সমস্যার সমাধানে বেশ কিছু পরিকল্পনা করছে রেল, যাতে ভবিষ্যতে ওয়েটিং লিস্ট সমস্যা না থাকে। আজকের প্রতিবেদনে সেই সমস্ত পরিকল্পনাগুলো সম্পর্কেই বিস্তারিত জানাবো আপনাদের।

একবছরেই শেষ হবে Ticket Waiting List এর সমস্যা

২০২৩ সালের মধ্যে ওয়েটিং লিস্ট সিস্টেম সম্পূর্ণ তুলে দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারতীয় রেল। এমনকি রেল মন্ত্রকের তরফ থেকে জানা যাচ্ছে রিজার্ভেশন সিটের ডিমান্ড ও সাপ্লাই এর মধ্যেকার যে গ্যাপ সেটাও কমানো হবে। এর জন্য রেলের পরিষেবার সক্ষমতা ও দক্ষতা বাড়াতে রেলের বেসিক স্ট্রাকচার আরও শক্তিশালী করার উপরে জোর দেওয়া হবে।

আরও পড়ুনঃ সন্তানের ভবিষ্যৎ হবে সুরক্ষিত! পোস্ট অফিসের এই দুর্দান্ত স্কিমে সামান্য বিনিয়োগেই পাবেন ৩ লাখ

বিনোয়োগ করা হবে ১ লক্ষ কোটি টাকা 

ইতিমধ্যেই রেল মন্ত্রী অশ্বনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন, আমাদের লক্ষ এই দশকের শেষে ওয়েটিং লিস্ট সম্পূর্ণ বাদ দেওয়া। এর জন্য রেল একাধিক ছোট ছোট পদক্ষেপ নিচ্ছে। তাছাড়া পরিষেবা উন্নত করা ও ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য ১ লক্ষ কোটি টাকার বিনিয়োগ করা হবে। যার মধ্যে পুরোনো স্টক পাল্টানো হবে। এছাড়াও ৭০০০-৮০০০ মত নতুন ট্রেন প্রয়োজন হবে।

৭০০ কোটি যাত্রীর জন্য ৩০০০ নতুন ট্রেন আসবে

রেলসূত্রে জানা যাচ্ছে ২০৩০ সালের  মধ্যে ভারতীয় রেলে মোট ১২ লক্ষ কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রয়োজন তবেই বর্তমান স্তরের সাথে উন্নয়ন করা সম্ভব হবে। ইতিমধ্যেই ৭০০ কোটি যাত্রী  প্রতিবছর ট্রেনে সফর করে। যেটা আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে ১০০০ হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে চাহিদা পূরণের জন্য প্রায় ৩০০০ নতুন ট্রেন আনা হবে, এর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে রেল।