নিউজশর্ট ডেস্কঃ এবছরেই সাত পাকে বাঁধা পড়েছেন অভিনেতা কাম সাংসদ কাঞ্চন মল্লিক। দীর্ঘদিনের বান্ধবী তথা অভিনেত্রী শ্রীময়ী চট্টরাজের সাথেই তৃতীয়বার গাঁটছড়া বেঁধেছেন অভিনেতা। বিয়ের আগে থেকেই কাঞ্চনদের বাড়িতে পুজো থাকলে সেই দায়িত্ব সামলাতে দেখা গিয়েছে শ্রীময়ীকে। তাই গণেশ চতুর্থীতে গণপতি বাপ্পার পুজো হবে সেটা জানাই ছিল। বিয়ের পর এটাই তাঁর প্রথম গণেশ পুজো।
এদিন সকাল থেকেই চরম ব্যস্ত ছিলেন শ্রীময়ী। একা হাতেই ঠাকুর কেনা থেকে পুজোর যোগারপাতি সবটাই করতে হয়েছে তাকে। পুজোর সাথে হোমেরও আয়োজন করা হয়েছিল। একপ্রকার ধুমধাম করেই আয়োজন হয়েছিল পুজোর। এদিন সংবাদ মাধ্যমের তরফ থেকে যোগাযোগ করা হয়েছিল অভিনেত্রীর সাথে। জানতে চাওয়া হয় ঠাকুরের কাছে কি প্রার্থনা করলেন তিনি?
উত্তরে শ্রীময়ী বলেন, এমন একটা পৃথিবী যেখানে সকলে সুখে শান্তিতে থাকতে পারবে । কাউকে যেন চোখের জল না ফেলতে হয় এটাই কামনা করেছেন তিনি। অবশ্য এর আগে জন্মাষ্টমীর পুজোতে নিজের আফসোসের কথা জানিয়েছিলেন অভিনেত্রী। বিয়ের পরেও কাঞ্চন তাকে সময় দেননা বলে অভিযোগ করেন। তাছাড়া ভবিষ্যৎ প্ল্যাংনিংয়ের জন্যও সময় দিচ্ছেন না কানছেন বলে জানান।’
তাঁর মতে, স্বামী কাঞ্চন কাজ আর প্রচার নিয়ে ব্যস্ত হওয়ার কারণে একেবারেই সময় দিতে পারছিলেন না। এদিকে গণেশ পুজো থাকলেও সব আয়োজন তাকেই করতে হয়েছে। শুটিংয়ের কাজে ব্যস্ত কাঞ্চন। প্রতিদিন দুপুর ২টো নাগাদ বেরিয়ে ভোর ৫-৬ নাগাদ বাড়ি ফিরছেন। বাড়িতে মা থাকলেও তিনি এবারে ভোগ রান্না করতে পারেননি। কারণ আগের দিন রাতে এক আত্মীয়ের মৃত্যু হওয়ায় মা সেখানে চলে গিয়েছেন।
View this post on Instagram
আরও পড়ুনঃ ‘মেকআপ করানোর নামে পিঠে বুকে হাত,’ রুপটান শিল্পীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক টেলি অভিনেত্রী
ঠাকুর কেনা থেকে পুজোর জোগাড়, এমনকি ভোগ রান্নাও নিজেকেই করতে হয়েছে। কারণ আগের যে বৈষ্ণব রাঁধুনী ছিল সে শরীর খারাপ হওয়ায় বাড়ি গিয়েছে আর নতুন যে এসেছে সে খুব একটা অভিজ্ঞ নয়। এদিকে পুরোহিত মশাইও সকাল সকাল এসে যাওয়ায় ঠিকমত তৈরীও হতে পারেননি বলে জানান শ্রীময়ী।