নিউজশর্ট ডেস্কঃ বর্তমান সময়ে মালদ্বীপের(Maldives) সঙ্গে ভারতের(India) সম্পর্ক খারাপই রয়েছে। মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট হিসেবে মহম্মদ মুইজ্জু যেদিন থেকে নির্বাচিত হয়েছেন তারপর থেকে ভারতের সঙ্গে মালদ্বীপের সম্পর্কের অবনতি করছে শুরু করে। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির লাক্ষাদ্বীপ ভ্রমণের পর তাকে নিয়ে মালদ্বীপের মন্ত্রীদের নানারকমের কুরুচিকর মন্তব্য কার্যত ডুবে গিয়েছে মালদ্বীপের পর্যটন শিল্প।
এর কারণ হিসেবে বেশিরভাগ মহম্মদ মুইজ্জুর ওপরে পড়ছে। এই মহম্মদ মুইজ্জু চিন ঘনিষ্ট বলেই চারিদিকে পরিচিত। তিনি ক্ষমতায় আসার পর থেকেই মালদ্বীপ থেকে সেনা সরিয়ে নেওয়ার দাবি তুলেছেন। আর বারবার এই দাবি করার জন্য গত ১০ মে-র আগেই ৭৬ জন ভারতীয় সেনা মালদ্বীপ থেকে ভারতে চলে এসেছেন।
আর এবার ভারতীয় সেনারা ভারতের চলে আসার পর সমস্যায় পড়েছে মালদ্বীপ। আসলে মালদ্বীপ থেকে ভারতীয় সেনারা সরে এলেও ভারতের দান করা তিনটি এয়ারক্রাফট এখনো রয়ে গিয়েছে। তবে সেই এয়ারক্রাফ্টগুলো থাকলেও সেগুলো ওড়ানোর জন্য কোন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত পাইলট নেই মালদ্বীপে। এটা যে একটা বড় সমস্যা এই কথা স্বীকার করেছেন মালদ্বীপের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী।
মালদ্বীপের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ঘাসান মাউমুনের এই মন্তব্যের পরে ভারতীয়রা খুব খুশি হয়েছেন। মালদ্বীপে ভারতের দেওয়া দুটো হেলিকপ্টার এবং একটি ডার্নিয়ার এয়ারক্রাফট রয়েছে। তবেই এগুলো উড়ানোর মত দক্ষ পাইলট মালদ্বীপে নেই। মালদ্বীপের সেনাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হলেও সেই প্রশিক্ষণ এখনো সম্পূর্ণ হয়নি। এছাড়া মালদ্বীপে এমন সংখ্যক সেনা নেই যাদের হেলিকপ্টার কিংবা এয়ারক্রাফট ওড়ানোর লাইসেন্স আছে।
এই সমস্যা ছাড়াও মালদ্বীপ এখন পর্যটন শিল্পের সমস্যার জন্য রীতিমতো হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে। মালদ্বীপের অর্থনীতির বেশিরভাগটাই নির্ভর করে পর্যটন শিল্পের উপর আর। যে সকল পর্যটক মালদ্বীপে ভ্রমণে আসেন তার মধ্যে বেশিরভাগই ভারতীয়। কিন্তু যেহেতু ভারতীয়রা এখন সেভাবে মালদ্বীপে যাচ্ছেন না। তাই মালদ্বীপের পর্যটন শিল্পের অবস্থা অনেক খারাপ হয়ে গিয়েছে।