বর্তমান দিনে বাংলা সিরিয়ালের (Bangla Serial) জনপ্রিয়তা এতটাই বেশি যে সিরিয়াল তারকাদের জনপ্রিয়তা ছাপিয়ে যায় সিনেমার তারকাদেরও। এমনকি অনেকে তো এটাও বলে যে, সিনেমায় অভিনয় করে যে টাকা (Salary) পান তার চেয়ে অনেক বেশি রোজকার করেন সিরিয়াল করে। কার্যত এই সিরিয়াল বহু তারকার রুজি রোজগারের বন্দোবস্ত করে দিয়েছে।
বর্তমান সময়ে যারা সিরিয়ালে অভিনয় করেন তাদের পারিশ্রমিকের অঙ্কটা হয় চমকানোর মত। হাজার ছাড়িয়ে এখন তো কোটির ক্লাবে পৌঁছে গেছেন তারা। জি বাংলার জনপ্রিয় সিরিয়াল ‘নিম ফুলের মধু’ (Neem Phuler Modhu)-র তারকারাও তেমনই। সিরিয়ালের দুই মূখ্য চরিত্র রুবেল দাস (Rubel Das) এবং পল্লবী শর্মার (Pallavi Sharma) পারিশ্রমিকও আকাশছোঁয়া।
‘কে আপন কে পর’ সিরিয়ালের পর এই ধারাবাহিকের হাত ধরেই কামব্যাক করেছিলেন নায়িকা। অন্যদিকে যমুনা ঢাকির পর এই সিরিয়ালের হাত ধরে কাম ব্যাক করছেন রুবেল দাস। এমনিতেই এই দুই তারকা বাংলা সিরিয়ালের বেশ জনপ্রিয় মুখ। তার উপর আবার টিআরপি তালিকাতেও নিম ফুলের মধুর বেশ ভালো রেটিং রয়েছে।
তাই এরকম একটা জনপ্রিয় ধারাবাহিকের তারকাদের পারিশ্রমিক যে আকাশছোঁয়া হবে সে কথা বলাই বাহুল্য। দিনকয়েক আগেই জানা গেছিল ‘মেয়েবেলা’ সিরিয়ালের বীথি মাসি ওরফে রূপা গাঙ্গুলী হলেন বাংলা সিরিয়ালের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক প্রাপ্ত অভিনেত্রী। মাসিক ৯ লক্ষ করে চার্জ করেছিলেন তিনি।
বিগত কিছুদিন ধরেই লক্ষ্য করা যাচ্ছে কিছুদিন আগে অবধি যারা হাজারে নোট গুনতেন তারা আজ লাখে পৌঁছে গেছেন। বলাই বাহুল্য ইন্ডাস্ট্রির প্রতিটা প্রোজেক্টের দাম বেড়েছে। সাথে বেড়েছে তারকাদের পারিশ্রমিকও। উদাহরণস্বরূপ, যে পল্লবী শর্মা ‘কে আপন কে পর’র জন্য মাসে ২০ হাজার টাকা পারিশ্রমিক নিতেন তিনি আজ মাসে ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা পারিশ্রমিক নেন। এদিকে রুবেল একটু এগিয়ে রয়েছেন। আগে তার মাসিক উপার্জন ছিল প্রায় ৫০ হাজার টাকা। এখন তিনি চার্জ করেন ২ লক্ষ টাকা।