এই মুহূর্তে দারুন টানটান উত্তেজনা তৈরি হয়েছে স্টার জলসার ‘অনুরাগের ছোঁয়া’য়। যেদিন থেকে দীপা প্রেগন্যান্ট হয়েছে সেদিন থেকেই শুরু হয়েছে নতুন নতুন টুইস্ট। একদিকে নিজের সম্মানের সাথে কোনোরকম আপোষ করতে রাজি নয় দীপা, অপরদিকে সূর্যও নিজের পিতৃত্ব স্বীকার করতে রাজি নয়।
এমতাবস্থায় দীপার ভাগ্য ঠিক কোনদিকে গড়ায় তা দেখার জন্য মরিয়া হয়েছিলো দর্শকমহল। মানুষ চাইছিল এবার মিশকার সমস্ত কারচুপি ধরা পড়ুক এবং দীপা-সূর্য এক হয়ে যাক। যদিও নির্মাতাদের ইচ্ছে তো সম্পূর্ণ অন্যরকম। এত সহজে নায়ক-নায়িকার মিলন হয়ে যাবে এটা বোধহয় তাদের না পসন্দ।
গতকালের এপিসোড তো সবাই ইতিমধ্যেই দেখে ফেলেছেন বোধহয়। এটা তো সবাই জানেন যে, এবার দীপা DNA টেস্ট করাতে রাজি হলেও সূর্য সম্পূর্ণ বেঁকে বসেছে। যদিও এতে একটা ভালো বিষয় ঘটেছে যে সূর্য নিজেই তার আর মিশকার বিয়ে ভেঙে দিয়েছে। অর্থাৎ বাকিদের মতো একগুচ্ছ বিয়ে অন্তত দেখতে হবেনা দর্শকদের।
এরপরেই সূর্য ঠিক করে সে নিজের মেয়ে সোনার মধ্যেই বাকি জীবনটা বেঁচে থাকার রসদ খুঁজে নেবে। সূর্য বলে দুনিয়াতে অনেক সিঙ্গেল মাদার আছে যারা নিজের কাজ সামলে সন্তানকে বড় করে। আমিও সেভাবেই নিজের মেয়েকে বড় করব। এপিসোডের এই অংশটি দর্শকদের দারুন পছন্দ হবে বলেই মনে করছেন দর্শকরা।
কারণ এর মধ্যে যেমন একটি সামাজিক বার্তা রয়েছে তেমন সিঙ্গেল মাদারদের স্ট্রাগলকেও সম্মান করা হয়েছে। অপরদিকে দীপাও এখন একপ্রকার সিঙ্গেল মাদার। তাই দীপা এবং সূর্য আলাদা ভাবে হলেও একইরকম স্ট্রাগলের মধ্যে দিয়েই যাচ্ছে। এদিকে লাবণ্যের বিশ্বাস সোনার ভাগ্য আগেই লেখা হয়ে গেছে। তার দায়িত্ব হল, মা এবং বোনকে খুঁজে বার করে নিজের পরিবারকে এক করা।
ওদিকে দীপা মেয়ে রূপাকে নিয়ে রাস্তায় অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাকে উদ্ধার করে নিজের গ্রামের বাড়ি নিয়ে যায় তবলা। তাকে নিয়ে যায় নিজের দাদা বৌদির কাছে। তারা দীপাকে নিজের বোন বলে আপন করে নেয়। আপাতত এখানেই একটা অধ্যায় শেষ করে পরের পর্ব থেকে একটা লম্বা লিপ নেবে সিরিয়ালটি। এরপরের ঘটনা সম্পর্কে আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের পোর্টাল Newzshort.com এ ।