টলিউড,বিনোদন,গসিপ,নুসরত জাহান,যশ দাশগুপ্ত,প্রেগন্যান্সি,সমালোচনা,‌ Tollywood,Entertainment,Gossip,Nusrat Jahan,Yash Dashgupta,Pregnancy,Controversy

Moumita

অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় ওজন ছিল ৭৫ কেজি, কীভাবে মাত্র এক বছরেই তন্বী ফিগারে ফিরে এলেন অভিনেত্রী নুসরাত!

গত বছর আগস্ট মাসেই নুসরতের কোল জুড়ে এসেছে এক পুত্র সন্তান। একদিকে নিখিলের সঙ্গে ডিভোর্স, অপরদিকে যশের সাথে অ্যাফেয়ার্স আর এরই মাঝে তার প্রেগন্যান্সির খবর। সবে মিলিয়ে তুমুল সমালোচনার ঝড় বয়ে গেছে যশ নুসরতের উপর দিয়ে।

   

এমতাবস্থায় কীভাবে সামাল দিলেন এই পরিস্থিতি। নিজেদেরকে ঠিক রাখতে কী কী করেছিলেন যশরত? এসব নিয়েই খোলামেলা উত্তর দিলেন অভিনেত্রী নুশরত‌। গতবছর এরকম সময়ে যখন তুমুল চর্চা যশরতকে নিয়ে ঠিক সেই সময়ই মৌন থাকাই শ্রেয় মনে করেন এই জুটি।

সম্প্রতি টাইমস অফ ইন্ডিয়ার সাথে এক সাক্ষাৎকারে নিজের এক বছর আগের অভিজ্ঞতাকে তুলে ধরেন অভিনেত্রী। নুসরত জানায়, গর্ভাবস্থার সময় প্রতিটি মাকেই নিজের বিশেষ যত্ন নিতে হয়। আর তাই সেই সময়টা সবকিছু থেকে দূরে থেকে দারুনভাবে উপভোগ করেছেন তিনি।

নুসরতের কথায়, “আসলে ওই সময়টা পুরোদমে উপভোগ করেছি। ছেলে জন্মের পরই কাজে যোগ দি তাতে রাজি ছিলেন না যশ ও আমার মা-বাবা। ওদের মনে হয়েছিল আমি নিজের স্বাস্থ্যের কথা ভাবছি না। তবে আমার কাছে আমার মানিসক স্বাস্থ্যটা বেশি জরুরি ছিল। আসলে প্রথমে অল্প সময়ের জন্য কাজ করতে শুরু করি। তাই কাজে যেতাম, ফিরে এসে সন্তানকে খাওয়াতাম, ফের কাজে যেতাম। এটা আমার চ্যালেঞ্জিং ছিল তবে অসম্ভব নয়, এইভাবে আমি প্রসব-পরবর্তী ডিপ্রেশনের কাছে হার মানিনি”।

তবে এই লড়াইয়ে বিশেষভাবে পাশে পেয়েছিলেন পার্টনার যশকে। অভিনেত্রীর সর্বক্ষণের সঙ্গী ছিলেন তিনি। এইদিন যশকে পার্টনার হিসেবে ১০ এর মধ্যে ১০ দেন তিনি। তবে বাবা হিসেবে নম্বর দিতে বলা হলে অভিনেত্রী জানান, “আমার কাজ ভাগ করে নিয়েছি দুজনের মধ্যে, তেমন নিজেদের জন্য সময়ও ঠিক বার করে নি।” অপরদিকে শারিরীক ভাবেও বিপুল পরিবর্তন এসেছিলো নুসরতের শরীরে। স্লিম-ট্রিম নুসরতের ওজন হয়ে দাঁড়িয়েছিলো প্রায় ৭৫ কেজি। তবে ছেলে জন্মের তিন মাসের মধ্যেই বাড়তি মেদ ঝরিয়ে আবার আগের মতোই তন্বী তিনি। কীভাবে এই অবিশ্বাস্য ওজন কমালেন তিনি?

নুসরতের কথায়, “আমার ওজন ছিল ৪৭ কেজি যখন আমি অন্তঃসত্ত্বা হই। আর যখন আমি আট মাসের গর্ভবতী তখন আমার ওজন ছিল ৭৫ কেজি! এই সময় ‘ক্রেজি’ হরমোনের পাল্লায় পরি। যার ফলে সারাক্ষণ যশকে আমি দুষতাম যে তোমার জন্যই আমার ওজন বেড়েছে। তবে যশ কথা দিয়েছিল চিকিৎসক যখন রাজি হবে ওয়ার্ক করতে আমাকে পুনরায় শেপে ফিরিয়ে দেবে ও। এখন আমি গর্ব করে বলতে পারি , আগের চেয়েও অনেক বেশি শক্তিশালী আর ফিট আমি। আমরা একসঙ্গে ওয়ার্ক আউট করি, জিমটা আমাদের জীবনের বিরাট অংশ। যশ এটা নিশ্চই মানবে আমি ওর সবথেকে বাধ্য ছাত্রী।”