মহেশ বাবু,দক্ষিণী সুপারস্টার,মাদক দ্রব্য,নেশা,ধূমপান,বিজ্ঞাপন,Mahesh Babu,South Superstar,Intoxicating,Addiction,Smoking,Advertisement,বিনোদন,টলিউড,Entertainment,Tollywood

Moumita

সর্বনাশা নেশা! এই নেশার জন্য চুরি পর্যন্ত করেছিলেন মহেশবাবু, জীবনের অন্ধকার সময় নিয়ে মুখ খুললেন অভিনেতা

সর্বনাশা নেশা… নেশার ঘোরে মানুষ কত কী না করে… নেশাগ্রস্থ অবস্থায় মানুষ নিজের অজান্তেই যে কতটা বড় বিপদ ডেকে আনে তার ইয়ত্তা নেই। যে কোনও নেশা শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। একটা মানুষকে শেষ করার জন্য নেশাই যথেষ্ট। আর এই নেশা করেই বিপাকে পড়েছিলেন দক্ষিণী সুপারস্টার মহেশ বাবু। অ্যান্টি টোব্যাকো ডে-তে এই সেলেবরা সচেতনতা বৃদ্ধির চেষ্টা করলেও কোথাও কোনোদিন তারাও নেশার শিকার হয়েছেন। সম্প্রতি নিজেরই এমন এক অভিজ্ঞতার কথা ভাই করে নিলেন দক্ষিণের হার্টথ্রব মহেশ বাবু। এমনকি নেশার ঘোরে চুরি অবদি করেছেন তিনি।

   

বিভিন্ন সেলেবদের এসব গল্প এই কারণেই প্রকাশ্যে আনা হয় যাতে মানুষ শিক্ষা নিতে পারে যে, কোন জিনিসটা করা উচিত নয়। যাতে তামাক সেবন থেকে বিরত থাকে সবাই। এমনকি এই কারণেই টোব্যাকো জাতীয় বিজ্ঞাপনকেও না বলছেন সবাই‌। এই প্রসঙ্গে মহেশ বাবু জানান, নেশার ঝোঁকে একবার চুরি করতেও পিছপা হননি তিনি। কারণ তিনি এতোটাই আসক্ত হয়ে পড়েছিলেন যে কোনোভাবেই নেশা করা থেকে নিজেকে বিরত রাখতে পারছিলেন না। যদিও এখন সেই পরিস্থিতি থেকে নিজেকে সম্পূর্ণ সরিয়ে এনেছেন তিনি।

বর্তমানে মাদক সেবন থেকে একটা সময় ধূমপান ছাড়া থাকতেই পারতেন না তিনি। অনেক চেষ্টা করেও নিজেকে ধূমপান করা থেকে আটকাতে পারেননি উল্টে দিনের পর দিন বেড়ে গেছিলো ধূমপানের পরিমাণ। একটা সময় তো রিতিমত চেইন স্মোকারে পরিনত হয়েছিলেন মহেশ বাবু। আর এই ধূমপানের সৌজন্যেই বারংবার সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন তিনি‌।

কীভাবে নিজেকে ঐ পরিস্থিতি থেকে সরিয়ে আনেন তিনি, এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি অ্যালেন কারের “ইজি ওয়ে টু স্টপ স্মোকিং” বইটির কথা বলেন। মহেশের কথায়, একটা সময় এমন ছিলো যখন তিনি ধূমপান ছাড়তে চাইলেও পেরে উঠেছিলেন না, তখন এই বইটিই নাকি তাকে সাহায্য করে। বর্তমানে তিনি নিজেকে বিভিন্ন সামাজিক কাজে যুক্ত রেখেছেন। এছাড়া তিনি প্রতিবারই ধূমপানের বিষয়ে তার অনুরাগীদের সতর্ক করে থাকেন।

তবে হালেই অবশ্য তামাক জাতীয় বস্তুর বিজ্ঞাপনের মুখ হওয়ার কারনে মুখ পুড়েছে তার। বলিউডের বিভিন্ন তাবড় তাবড় অভিনেতাদের সাথে চরম ট্রোল হয়েছিলেন তিনিও। আসলে কারণ হলো তিনি যেরকম একদিকে নেশার বিরুদ্ধে সচেতনতা চালাচ্ছেন সেরকম একই সাথে তামাকের বিজ্ঞাপনেরই মুখ হচ্ছেন। এই নিয়ে সারা ইন্ডাস্ট্রি ঘিরে তাকে নিয়ে চলেছে তুমুল সমালোচনা।