Papiya Paul

খাবার জোগাড় করতে সুপারমার্কেটে ছোটাছুটি করছে চীনারা, যুদ্ধ না অন্যকিছু ধ্বন্দে দেশবাসী

হঠাৎ করে হুড়োহুড়ি পরে গেছে চীনের সমস্ত সুপার মার্কেটে। আতঙ্কিত মানুষ ভিড় করে যথাসম্ভব নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস সংগ্রহ করে নিচ্ছে। চাহিদা অনুযায়ী সামগ্রী না থাকায় স্বাভাবিকভাবেই গ্রাহক এবং সুপার মার্কেটের কর্তৃপক্ষের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হচ্ছে। গ্রাহকদের প্রয়োজনীয় সামগ্রী দিতে অক্ষম হওয়ার কারণে এক সুপার মার্কেটে মার্কেটে বেরিয়ে যায়। কিন্তু কি এমন হলো যার জন্য এমন পরিস্থিতি তৈরি হলো? আসলে সরকারের তরফ থেকে একটি নির্দেশ পাওয়ার পর থেকেই চীন বাসিন্দা সুপার মার্কেটের দিকে ছুট লাগায়।

   

চীন সরকারের মতে, করোনা সম্ভাবিত বিপদ দেখেই এই পরিস্থিতি গ্রহণ করা হয়েছে। শীতকালে মারাত্মক আকারের করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যেতে পারে, এমন খবর শোনার পরেই প্রয়োজনীয় জিনিস কেনার জন্য ভিড় জমিয়েছে সাধারণ মানুষ সুপার মার্কেটে। ইতিমধ্যেই সরকার অদূর ভবিষ্যতের জন্য লকডাউন ঘোষণা করে দেবেন বলে নির্দেশ দিয়েছেন। সেই নির্দেশ শোনামাত্রই অবস্থা সঙ্কটজনক হয়ে ওঠে। সবাই বেশি করে সামগ্রী কিনে রাখার প্রচেষ্টা করে। স্বাভাবিকভাবেই সংকটজনক পরিস্থিতির তৈরি হয় সর্বত্র।

তবে শুধুমাত্র সুপার মার্কেটে সামগ্রী কেনার জন্য মানুষের ভিড় জমেছে তা কিন্তু নয়, অনলাইনেও চীনারা বিপুল পরিমাণে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী অর্ডার দিতে থাকে। আলিবাবা সহ বিভিন্ন সাইটে চাল, সোয়া সস এবং চিলি সসের চাহিদা আচমকা বেড়ে যায়। স্থানীয় বিক্রেতাদের স্টক খালি হয়ে যায়।

শুধুমাত্র করোনা পরিস্থিতির জন্য নয়, জল্পনা কল্পনা করা হচ্ছে, চীন তাইওয়ানের সঙ্গে যুদ্ধ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে কী হতে পারে তা আমাদের সকলের জানা। তাই এখন থেকেই নিজেকে সুরক্ষিত করার জন্য এবং পরিবারের সুরক্ষার জন্য নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী জিনিস কেনার জন্য সুপার মার্কেটে ছোটাছুটি করছেন সাধারণ মানুষ।