“ইয়ে জমিন আসমান”, “থোড়ি সি লিফট করা দে” আদনান সামির কণ্ঠে গাওয়া এই জনপ্রিয় গানগুলি শোনেনি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। ইন্ডাস্ট্রির একজন সুপরিচিত প্লেব্যাক সিঙ্গার তথা সুরকার আদনান সামি একাধিক হিট গান উপহার দিয়েছেন সঙ্গীতপ্রেমীদের। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক শোরগোল ফেলে দিয়েছেন তিনি। কিন্তু ঠিক কী কারণে এই হইচই! আসুন জেনে নিই বিস্তারিত।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘ইয়ে জমিন আসমান’ গানের গায়ক আদনান সামির বেশ কিছু ছবি ভাইরাল হয়েছে। আর সেই ছবি দেখেই চক্ষু চড়কগাছ নেটিজেনদের। এক সময়ে যার ওজন ছিল ২২০ কেজি তিনি এখন ছিপছিপে সুঠাম চেহারার যুবক। মানুষজন চাইলেও বিশ্বাস করতে পারছেনা যে ভাইরাল ছবির যুবক সত্যিই আদনান সামি। এ যেনো পুরোপুরিই ভোর বদল। এই মুহূর্তে এটাই হয়ে গেছে পেজ থ্রি-র আলোচোনার টাটকা টপিক।
প্রসঙ্গত, ভাইরাল এই ছবি গুলিতে দেখা যাচ্ছে চোখে রোদ-চশমা, ব্ল্যাক টি-শার্টে মালদ্বীপের বুকে আগুন ছড়াচ্ছেন আদনান। এবং সেখান থেকেই কিছু মুহূর্ত ক্যামেরা বন্দী করে অনুরাগীদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন তিনি। এতোদিন আদনানের ২২০ কেজির স্থুল চেহারাটাই ভক্তদের মনে গেঁথে থাকলেও ছিপছিপে গড়নের এই নতুন অবতার দেখে বেজায় আপ্লুত অনুরাগীরা।
View this post on Instagram
মিডিয়া সূত্রে জানা যাচ্ছে, ২০০৫ সালে লিম্ফেডেমা নামে একটি অস্ত্রোপচার হয়েছিল শিল্পীর। শরীরে বাড়তি মেদ জমে থাকার কারণে তার চাপ পড়তো ফুসফুসের উপর। যত দিন যেতে লাগলো শ্বাস প্রশ্বাসে সমস্যা দেখা দিতে লাগলো তার। তখনই ডাক্তররা একপ্রকার জবাব দিয়েই দিয়েছিলেন। অস্ত্রোপচারের পর তিন মাস শয্যাশায়ী ছিলেন তিনি। চিকিৎসকের কথা অনুযায়ী, একমাত্র ওজোন কম করতে পারলেই হতে পারে সুরাহা। নাহলে বাঁচার আশাও কম।
শুরু হলো লড়াই, ২২০ কেজি থেকে ৬৫ কেজির সফরে তার পাশে ছিলো তার পরিবার এবং বন্ধুবান্ধব। এক মুহুর্তের জন্যেও মনের জোর হারাননি তিনি। ডায়েটেশিয়ানের পরামর্শ মতো খাওয়া দাওয়া শুরু করেন তিনি, আর তার সাথে চলতে এক্সারসাইজ। একটা সময় শরীর এতোটাই ভারী ছিলো যে ঝুঁকতেও পারতেননা তিনি, সেই আদনানই আজ দৌঁড়ঝাপ করে বেড়াচ্ছে মালদ্বীপের বুকে।
তবে মজার ব্যাপার হলো আদনানের এই নতুন লুক রীতিমত তাক লাগিয়ে দিয়েছে সবার। গোলগাল নিটোল চেহারার অধিকারী আদনান যে এরকম ট্রিম অ্যান্ড ফিট হতে পারে তা সকলেরই কল্পনার বাইরে। তবে আদনানের এই চমকপ্রদ রূপান্তর যে দেশের লাখো মানুষের অনুপ্রেরণা হবে তা বলাই বাহুল্য। আদনানের এই বদল, যেন ফিটনেসের দুনিয়ার এক নতুন মাইলস্টোন।