Papiya Paul

কোন ব্যাঙ্কে সুদ সবথেকে বেশি? সরকারি নাকি বেসরকারি! বিনিয়োগের আগে অবশ্যই জেনে নিন

নিউজশর্ট ডেস্কঃ বর্তমানের ডিজিটাল যুগে নেটব্যাঙ্কিংয়ের(Netbanking) উপর নির্ভরশীল দেশের প্রতিটি মানুষ। যেহেতু ইন্টারনেটের প্রবণতা বেড়েছে, ব্যাঙ্কিং সুবিধা অনেক বেড়েছে। বর্তমানে আমাদের দেশে অনেক সরকারি ব্যাঙ্ক(Government Bank) এবং বেসরকারি বা বেসরকারি খাতের ব্যাঙ্ক(Private Bank) কাজ করছে। এবং ১৯৯০ সালে ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার বেসরকারিকরনকে লাইসেন্সপ্রাপ্ত করে দেওয়ায় দেশে বেড়েছে বেসরকারি ব্যাঙ্কের রমরমা।

   

এমতাবস্থায় দেশের উন্নয়নে উভয়ের ভূমিকায় গুরুত্বপূর্ণ। যদিও উভয় সেক্টরের ব্যাঙ্কগুলি RBI RBI (রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া) এর বিজ্ঞপ্তি বা নির্দেশ অনুসারে কাজ করে তবুও এই দুই প্রকার প্রতিষ্ঠানের কার্যপ্রণালী, পদমর্যাদা ইত্যাদিতে রয়েছে কিছু মৌলিক পার্থক্য। চলুন জেনে নিই কী সেগুলি।

প্রথমে দেখে নিই সরকারি ব্যাঙ্ক কোনগুলি : স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (SBI), ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক(Union Bank), ইউকো ব্যাঙ্ক(UCO Bank), ব্যাঙ্ক অফ বরোদা(Bank of Baroda), ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া(BOI), ব্যাঙ্ক অফ মহারাষ্ট্র(Bank of Maharashtra), পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক(PNB), দেনা ব্যাঙ্ক(Dena Bank), ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার(Union Bank of India) মধ্যে কয়েকটি হল প্রধান সরকারি খাতের ব্যাঙ্ক।

বেসরকারি ব্যাঙ্ক কোনগুলি : আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক (ICICI), কোটাক মাহিন্দ্রা ব্যাঙ্ক লিমিটেড (Kotak Mahindra Bank), বন্ধন ব্যাঙ্ক(Bandhan Bank), এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক(HDFC Bank), অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক (Axis Bank), ইন্ডুসিন্ড ব্যাঙ্ক (Indusind Bank) ইত্যাদি।

সরকারী এবং বেসরকারী ব্যাঙ্কগুলির মধ্যে কিছু পার্থক্য হল:

১) সুদের হার : গ্রাহকদের জন্য উপলব্ধ সুদের হারের কথা বললে, সরকারী এবং বেসরকারী খাতের ব্যাঙ্কগুলির মধ্যে বিশেষ কোনও পার্থক্য নেই, উভয় ব্যাংকই তাদের গ্রাহকদের জন্য প্রায় একই সুদের হার অফার করে, তবে বর্তমানে বাজারে কিছু নতুন অফার এসেছে। যেমন বন্ধন ব্যাঙ্ক তাদের গ্রাহকদের ধরে রাখতে করতে নামমাত্র সুদের হার বাড়িয়েছে। তবে সাধারণত একটি সরকারি বা পাবলিক সেক্টর ব্যাঙ্কের দ্বারা দেওয়া সুদের হার একটি প্রাইভেট সেক্টর ব্যাঙ্কের দেওয়া সুদের হারের চেয়ে খুব সামান্যই বেশি হতে পারে।

২) শেয়ার বা শেয়ারহোল্ডার : একটি সরকারি ব্যাঙ্ক বা পাবলিক সেক্টরের ব্যাঙ্কে, বেশিরভাগ শেয়ার (প্রায় ৫০ শতাংশ) সরকারের কাছে থেকে যায়, যেখানে একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে, বেশিরভাগ শেয়ার বড় শেয়ারহোল্ডারদের কাছে থাকে এবং এই ব্যাঙ্কগুলির বেশিরভাগই কোনো না কোনোভাবে ব্যক্তিগত গ্রুপ দ্বারা পরিচালিত হয়।

৩) গ্রাহক পরিষেবা : আপাত দৃষ্টিতে গ্রাহক পরিষেবার ক্ষেত্রে সরকারি বা পাবলিক সেক্টর এবং প্রাইভেট সেক্টরের ব্যাঙ্ক গুলির মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। তবে বাস্তবে দেখলে বেসরকারি ব্যাঙ্ক গুলি তাদের গ্রাহকদের বেশি সুযোগ সুবিধা প্রদান করে থাকে। যদিও এর জন্য তারা সরকারি ব্যাঙ্কের চেয়ে একটু বেশি ফি নিয়ে থাকে।

৪) নির্ভরযোগ্যতা : যেহেতু ব্যাঙ্কিং পরিষেবায় সরকারি সেক্টরের দখল বহু পুরোনো তাই ব্যাঙ্কগুলি ইতিমধ্যেই গ্রাহকদের আস্থা অর্জনে সফল হয়েছে। এছাড়াও সরকারি কর্মচারিরা বেতন, এফডি ইত্যাদির মতো একাধিক সুবিধা পেয়ে থাকেন। অপরদিকে বেসরকারি ব্যাঙ্ক গুলিও তাদের উন্নতমানের কাস্টমার সার্ভিসের দ্বারা গ্রাহক টানতে সক্ষম হচ্ছে।