দিন কয়েকই হয়েছে জি বাংলার পর্দায় শুরু হয়েছে নতুন ধারাবাহিক ‘সোহাগ জল’। আর তার মাঝেই শুরু হয়েছে সিরিয়ালের দুই অভিনেত্রীর মধ্যে চুলোচুলি। স্টুডিওপাড়ার খবর, অভিনেত্রী সংঘমিত্রা ভট্টাচার্য এবং পুষ্পিতা মুখোপাধ্যায়ের মধ্যে মেকাপ রুম নিয়ে শুরু হয়েছে দ্বন্ধ। এমনকি ঘটনাচক্রে সংঘামিত্রা নাকি সিরিয়ালটাই ছেড়ে দেওয়ার কথা ভেবেছিলেন।
একটি সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে সঙ্ঘমিত্রা জানিয়েছেন, ‘প্রথম দু দিন টেম্পোরারি সেটে যখন কাজ হয় ও আর আমি একসঙ্গে মেকআপ রুম শেয়ার করি। আমরা আড্ডাও মারি একসঙ্গে। তারপর যখন নারায়ণী স্টুডিয়োতে এলাম প্রথমদিন কাজে আমাকে একটা রুম দেওয়া হল, বলল পুস্পিতার সঙ্গেই আমি রুম শেয়ার করব।’
এমতাবস্থায় নাকি পুষ্পিতা আসেন সেখানে। আর ঠিক তখনই একজন স্পটবয় এসে নাকি সংঘামিত্রার ব্যাগপত্তর উঠিয়ে নিয়ে চলে গেছে। অভিনেত্রীর কথায়, ‘পরে জানলাম পুষ্পিতা নাকি আমার সঙ্গে মেকআপ রুম শেয়ার করতে চায় নি। শুনেই চোখে জল চলে এসেছিল। মেয়েকে ফোন করে বলেছিলাম। ও তো শুনেই বলল তোমাকে আর কাজ করতে হবে না, বাড়ি চলে আসো।’
এতদিন যদিও এই বিষয়ে কোনো রকম মন্তব্য করেননি পুষ্পিতা, তবে সম্প্রতি বিষয়টা নিয়ে মুখ খুলেছেন তিনি। বিষয়টা মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই পুষ্পিতা বলেন, ‘আমার আঠাশ বছরের ক্যারিয়ারে কেউ এমন দাগ লাগায় নি।’ এবং তার সিদ্ধান্তের পেছনে লুকিয়ে থাকা কারণটিও তিনি জানিয়েছেন।
পুষ্পিতার কথায়, ‘আমার দু’বার করোনা হয়েছিল। ফুসফুসের অবস্থা খুবই খারাপ হয়ে যায়। তার পর থেকেই আমি কোনও কাজ করার আগে প্রযোজক সংস্থার সঙ্গে কথা বলে নিই আমার আলাদা মেক আপের ঘর লাগবে। পারিশ্রমিকের আগে আমি এই বিষয় নিয়েই কথা বলি। এ-ক্ষেত্রেও আমি কুমকুমদির (সঙ্ঘমিত্রা ভট্টাচার্য) সঙ্গে কোনও কথাই বলিনি।’
তিনি বলেন, ‘প্রযোজক সংস্থার এক সদস্যকে বলেছিলাম আলাদা ঘর হলে ভাল হয়। তখন তিনি কুমকুমদিকে অন্য একটি ঘর দেন। এর থেকে বেশি কিছু ঘটেনি। শুধু মাত্র প্রচার পাওয়ার জন্য, ভিউ বাড়ার জন্য এমনটা ঘটছে।’ এর সাথে তিনি এও বলেন যে, পরিবারে স্বামী এবং ছোট ছেলে রয়েছে। তাই তাদের জন্য হলেও তার সুস্থ থাকাটি জরুরি।
