Papiya Paul

অভিষেকের মরদেহ জড়িয়ে বুকফাটা কান্না রচনার, প্রিয় সহকর্মীর মৃত্যু মানতে পারছেন না অভিনেত্রী

টলিউডের সবার প্রিয় ‘মিঠুদা’ আর নেই। কাল পর্যন্ত যেই মানুষটা শুটিংয়ে নিজেকে ব্যস্ত রেখেছিলেন। তিনি হঠাৎ করে মধ্যরাত্রে সকলকে ছেড়ে পরলোকগমন করেছেন। আর তাই তার মৃত্যুতে আজ সকাল থেকেই তার বাড়িতে ছিল লোকে লোকারণ্য। এসেছিলেন টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা- অভিনেত্রীরা। যাদের সঙ্গে চুটিয়ে কাজ করেছেন অভিষেক চ্যাটার্জী। তার অভিনীত ছবির সংখ্যা যেমন কম ছিলনা। তেমনি নায়িকার সংখ্যাও কম নয়।

   

আর তাই বন্ধুর মৃত্যুতে এসেছিলেন ইন্দ্রানী হালদার থেকে ইন্দ্রানী দত্ত। একেবারে বাকরুদ্ধ সকলেই। এমনভাবেই হঠাৎ করে বহুতলের সামনে এসে দাঁড়ালো আরেক গাড়ি। সেই গাড়ি থেকেনামলেন অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। চোখে রোদ চশমা, সাদা কালো পোশাক এই ভাবেই প্রিয় বন্ধুকে শেষ দেখা দেখতে এসেছিলেন অভিনেত্রী। অভিষেককে দেখেই বুকফাটা কান্না রচনার।

প্রয়াত অভিনেতার বুকের উপর আছড়ে পড়ে হাউহাউ করে কাঁদতে কাঁদতে একটাই কথা বলে চলেছেন তিনি। “কী করে হতে পারে? আমি কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না। আমার বাবার পর যে কয়েকজন মানুষ আমার সবচেয়ে কাছের ছিলেন, তার মধ্যে তুমিই তো একজন। এটা কী করে হতে পারে?” যদিও তার এই কান্না সহজে থামানো যায়নি। ইন্দ্রানী থেকে জয়জিৎ সকলেই চেষ্টা করেছিলেন তবে এতো সহজে নিজের মানুষকে হারানোর শোক কি ভোলা যায়!

হতে পারে তার সঙ্গে কোন রক্তের সম্পর্ক নেই, কিন্তু এই অভিনেতার সঙ্গে যে তার আত্মার সম্পর্ক রয়েছে। আর সেটাই অভিনেত্রীর কান্না দিয়ে প্রমান হয়ে গিয়েছে। ইন্ডাস্ট্রির সকলের প্রিয় ‘মিঠু’-দার মৃত্যু ও কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না টলিউড। কাজপাগল এই মানুষটা হঠাৎ করে কিভাবে সকলকে ছেড়ে চলে গেলেন এটাই বোঝার ক্ষমতা নেই কারোর। সকলের মুখে একটাই কথা মিঠু খুব ভালো মানুষ ছিলেন।