নিউজশর্ট ডেস্কঃ বিগত কয়েক বছর যাবৎ পশ্চিমবঙ্গে এক সে এক দুর্নীতির পর্দা ফাঁস হয়েছে। কখনো খাটের তলায় মিলেছে কয়েকশো কোটি তো কখনো বন্ধ ফ্লাট থেকে উদ্ধার হয়েছে টাকা। চাকরি দেওয়ার নাম দুর্নীতির জেরে জেলে আছেন প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী। এরপরেই আসে রেশন দুর্নীতি। লক্ষ লুকঃ ভুয়ো রেশন কার্ডের দ্বারা লুটপাট চলাচল চাল গমের মত খাদ্য শস্য। তবে এসবের আগে থেকেই রোজভ্যালি চিটফান্ড স্ক্যামের জেরে চর্চায় উঠে এসেছিল বাংলা।
রোজভ্যালি চিটফান্ডের দুর্নীতির ফলে লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবনে নেমে আসে বিপর্যয়। আমানতকারীরা নিজেদের জমা করা টাকা ফেরতের দাবি করেন। যার জন্য কথিত হয় অ্যাসেট ডিস্পোজাল কমিটি। এবার যান আজচ্ছে টাকা ফেরত পাওয়া যাচ্ছে রোজভ্যালি স্ক্যামের। ইতিমধ্যেই ইনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট প্রায় ২০ কোটি টাকা উদ্ধার করেছে। যেটা আমানতকারীদের ফিরিয়ে দেওয়া হবে।
আজ অর্থাৎ শুক্রবার স্পেশাল ডিরেক্টর সুভাষ আগারওয়াল সহ ৩ উচ্চপদের আধিকারিকরা অ্যাসেট ডিস্পোজাল কমিটির অফিসে বৈঠক করেন। শেখেনি টাকা ফেরত দেওয়ার পক্রিয়া নিয়ে আলোচনা হয়। যেমনটা জানা যাচ্ছে এপর্যন্ত ১৯ কোটি ৪০ লক্ষ টাকার পাওয়া গিয়েছে। যেটা রোজভ্যালিতে টাকা রাখা মানুষদের ফিরিয়ে দেওয়া হবে। তবে একেবারেই সব টাকা মিলবে না এটা প্রথম কিস্তি হিসাবে ফেরত পাবেন আমানতকারীরা।
২০১০-২০১৩ সালে প্রথম চিটফান্ড স্ক্যাম প্রকাশ্যে আসে। শুরুতে সারদা ও পরবর্তীকালে রোজভ্যালির মধ্যে চলতে থাকা দুর্নীতির পর্দা ফাঁস হয়। এরপর ২০১৫ সালে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি দিলীপ কুমার শেট এর নেতৃত্বে অ্যাসেটস ডিসপোজাল কমিটি গঠিত হয়। হাই কোর্টের তরফ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়, রোজভ্যালির যে সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে তা নিলাম করা হবে। এরপর সেই টাকা আমানতকারীদের ফেরত দেওয়া হবে।
আরও পড়ুনঃ মেধাবী পড়ুয়াদের ৭০,০০০ টাকার স্কলারশিপ দিচ্ছে স্টেট ব্যাংক, রইল আবেদন পদ্ধতি সহ খুঁটিনাটি
কোর্টের আদেশ মত আমানতকারীদের লাগানো টাকার তথ্য জানার জন্য চালু করা হয়ে ওয়েবসাইট (www.rosevalleyadc.com)। যেখানে সমস্ত ডকুমেন্টস আপলোড করে টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য আবেদন করেন হাজার হাজার মানুষ। এতদিনে সেই টাকার প্রথম কিস্তি পেতে চলেছেন দুর্নীতির শিকার হওয়া মানুষেরা। স্বাভাবিকভাবেই এই খবরে স্বস্তির নিঃস্বাস ফেলেছে বহু মানুষ।