কথা দিয়েছিলেন, নিজে হাতে করে নিয়ে এসেছেন। নিজে হাতেই ফিরিয়ে নিয়ে যাবেন— কিন্তু কথা রাখতে পারলেন না সব্যসাচী চৌধুরী (Sabyasachi Chowdhury)। সকলকে ফাঁকি দিয়ে চলেই গেলেন বছর ২৪-র ঐন্দ্রিলা শর্মা (Aindrila Sharma)। নতুন প্রোজেক্টে কাজ করার জন্য শহর ছাড়ার কথা ছিল অনেক আগেই। কিন্তু নিয়তি অন্য কিছু লিখে রেখেছিল তাঁর জন্য।
১ লা নভেম্বর ব্রেন স্ট্রোক হওয়ার পর থেকে টানা ২০ দিন ধরে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছিলেন অভিনেত্রী। এর আগেও দুবার নকআউট করেছিলেন ‘ক্যান্সার’কে। তবে এতদিন লড়ে নিলেও অবশেষে হার মানতেই হল তাঁকে। লড়াই শেষে সমস্ত মায়ার বাঁধন ছিন্ন করে জীবনের রঙ্গমঞ্চ থেকে বিদায় নিলেন সকলের আদরের মিষ্টি।
রবিবার হাওড়ার হাসপাতালের বাইরে কার্যত ঢল নেমেছিল অনুরাগীদের। সেখান থেকে ঐন্দ্রিলার মরদেহ নিয়ে আসা হয় কুদঘাটের আবাসনে। সেখানেও উপস্থিত ছিল অনেক অনুরাগী, টলিপাড়ার সহকর্মীরা। আর ছিলেন তাঁর বেঁচে থাকার কারণ, তাঁর সর্বক্ষণের ছায়াসঙ্গী সব্যসাচী।
এতদিন যিনি সবথেকে বেশি ঐন্দ্রিলাকে আগলে রেখেছিলেন সেই সব্যসাচী চৌধুরী আজ একেবারে নিশ্চুপ। গতকাল যখন নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে ঐন্দ্রিলা সম্পর্কিত সমস্ত পোস্ট তিনি ভিলিট করেন তখনই সবাই বুঝতে পারে ঠিক কী ঘটতে চলেছে। কিন্তু সব বুঝলেও মন যে, তা মানতে চায়নি কারোরই।
এইদিন অভিনেত্রীর শেষযাত্রায় সব্যসাচী শেষবারের মতো ঐন্দ্রিলার সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎ করলেন। পায়ে আদর ভরা চুম্বন করে চির বিদায় জানালেন কাছের মানুষটিকে। হয়তো বা মনে মনে বললেন, এই পরশটাই হাতে লেগে থাক, এতেই ভরে থাকুক আমার মুঠো। এরপরই তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় অন্তিম ক্রিয়ার জন্য।
জানা গেছে কেওড়া তলাতেই দাহ করা হয়েছে ঐন্দ্রিলাকে। রাত পৌনে আটটা নাগাদ সম্পূর্ণ হয় শেষকৃত্য। সেখানে অনুরাগী বা সংবাদমাধ্যমের কোনও প্রতিনিধিকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। শুধু ছিলেন পরিবারের সদস্য আর মন্ত্রীরা। সূত্রের খবর, ঐন্দ্রিলার বাবার সাথে তাঁর মুখাগ্নি করেছেন সব্যসাচীও।