জনপ্রিয়তা অবলম্বন করেছিলেন দেবী দুর্গা রূপে। আজও অনেকে তাঁকে রাস্তাঘাটে দেবী দুর্গা বলেই চেনেন। কথা বলছি সন্দীপ্তা সেনের। খাদ্য রসিক এই অভিনেত্রী নিজেকে কষ্ট দিয়ে থাকতে ভালোবাসেন না। যখন যেটা মনে হয় তখন সঙ্গে সঙ্গে সেটি খেয়ে নেন। ফুচকা হোক অথবা ঝাল ঝাল সিঙ্গারা, সব কিছুই রয়েছে তাঁর পছন্দের তালিকায়। কিন্তু এত কিছু করেও কিভাবে নিজেকে ছিপছিপে রেখেছেন তা সত্যিই অবাক করা একটি বিষয়। অবশেষে সংবাদমাধ্যমের সামনে নিজের গোপন রহস্য ফাঁস করলেন সন্দীপ্তা সেন।
স্বাস্থ্য নিয়ে চিরকালই সচেতন তিনি। তাই খাওয়া-দাওয়ার দিকে বিশেষভাবে নজর দেন তিনি। শুটিং না থাকলে সকাল সাড়ে আটটার আগে বিছানা ছেড়ে ওঠা হয় না। তবে ঘুম থেকে উঠলেই জিরা ভেজানো জল খান তিনি, সঙ্গে থাকে তিনটি কাঠবাদাম। এরপরই প্রাতরাশের তালিকায় থাকে একটি ব্রাউন ব্রেড এবং হাফ বয়েল ডিম। কোন না কোন ফল খান কিছুটা বেলার দিকে। মধ্যাহ্নভোজন করে ফেলেন দুপুর দেড়টার মধ্যে। খাদ্যতালিকায় থাকে ভাত ডাল তরকারি মাছ অথবা মাংস।
সন্দীপ্তা বলেন, “আমি ঘড়ি ধরে লাঞ্চ করি। কখনো দুটোর সময় খাবার খাই না। তার আগেই আমি মধ্যাহ্নভোজন করে ফেলি। এরপর বিকেলের দিকে কিছুটা ফল খাই”।এরপর আসা যাক সান্ধ্যভোজনের কথায়। সন্ধ্যেবেলায় চিরে অথবা মাখানা খান। কোনরকম তেলেভাজা এড়িয়ে চলেন। রাত দশটার মধ্যে করে ফেলেন নৈশ ভোজ। অলিভ অয়েলে টস করা মাংস অথবা সবজি খান রাতের বেলা। শুধুমাত্র সুষম আহার করেন তা কিন্তু নয়, সপ্তাহে তিন থেকে চারদিন যোগাসন করেন সন্দীপ্তা।
“মা সারদা”র কথায়,’লকডাউনে কিছুটা ওজন বেড়ে গিয়েছিল যেটা ওয়েব সিরিজের জন্য আর কমানো হয়নি। কাজ শেষ হবার পর আরও একবার ডায়েট এবং যোগাসন করে সাড়ে ৮ কেজি ওজন কমিয়ে ফেলেছি। একবেলা যদি বেশি খাই, তাহলে অন্য বেলা কম খাই। এইভাবে নিজেকে ধরে রাখার চেষ্টা করি। তবে চেহারা ঠিক রাখার জন্য শুধুমাত্র কম খেলে হবে না, পর্যাপ্ত ব্যায়াম এবং শরীরচর্চাও করতে হবে।