নিউজশর্ট ডেস্কঃ শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় (Saswata Chatterjee) বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির (Bengali Film Industry) একজন অন্যতম অভিনেতা। অ্যাকশন হোক বা কমেডি কিংবা রোম্যান্টিক, সব ক্ষেত্রেই অসাধারন অভিনয়ের দক্ষতায় দর্শকদের মনে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। তবে বর্তমানে বাংলা ছবির মান অনেক অংশে কমেছে বলেই মত প্রকাশ করলেন তিনি।
প্রখ্যাত বাঙালি অভিনেতা শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায়ের সুপুত্র শৈবাল মিত্রের ধারাবাহিক দিয়েই অভিনয়ের যাত্রা শুরু। পরবর্তীকালে সন্দীপ রায়ের ফেলুদায় তোপসের চরিত্রে জনপ্রিয়তা লাভ করেন। ধীরে ধীরে তিনি আরো জনপ্রিয় হয়ে উঠতে থাকেন। ২০১২ সালে ‘কাহানি’ ছবিতে বিদ্যা বালানের সাথে কাজ করেছিলেন। এবার নাগ অশ্বিনের দক্ষিণী ছবি ‘কল্কি ২৮৯৮ এডি’তে মুখ্য খলনায়কের চরিত্রে দেখা গিয়েছে তাঁকে।
কেন পড়ছে বাংলা ছবির মান?
সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই প্রসঙ্গে মুখ খুলেছিলেন অভিনেতা শ্বাশত চট্টোপাধ্যায়। সেখানেই তিনি জানান, বর্তমানে অবাঙালি প্রযোজকদের সংখ্যা বেশি হওয়ায় ফেলুদা ও ব্যোমকেশ ছাড়া আর তেমন ভাবে সাহিত্য নির্ভর ছবি হচ্ছে না। তিনি গোটা বিষয়টা ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘সত্যি বলতে একটা নতুন গল্প ভাবতে যে সময়টা লাগে সেই সময়টা কারও হাতে নেই। কেন নেই জানি না। হয়তো টাকাটা কমতে কমতে এমন একটা জায়গায় এসে পৌঁছেছে যে কোনও লেখকের পক্ষে ভাবতে সেই সময়টা বা পরিশ্রমটা করা যাচ্ছে না’।
অভিনেতা আরও জানান, ‘আগে শুনতাম স্ক্রিপ্ট লিখতে ৩ মাস সময় লাগছে, এখন সেই সময়টা নেই। একদিকে থেকে প্রযোজকরা সেফ হবে যে আমার কাছে এটা প্রতিষ্ঠিত, ব্যোমকেশ, ফেলুদা, এখন আর শবরের গল্প নেই তাই বাদ। ওঁরা জানেন যে এগুলো পরিচিত লেখকদের লেখা, মানে ৫০ শতাংশ তাঁরা নিশ্চিত ব্যবসা নিয়ে বাকি ৫০ শতাংশ আমাদের উপর। এই সেফ খেলাটা চলছে। দর্শক ও হল কমেছে তাই একটা ছবির পিছনে বেশি টাকা খরচ করা যাচ্ছে না।আমরা বড় ছবিই করতে পারছি না’।
আরও পড়ুনঃ ‘ইন্ডাস্ট্রি বলে দিয়েছে আমি অভিনয় পারি না’, জন্মদিনে আক্ষেপের সুর বিপ্লব চট্টোপাধ্যায়ের গলায়!
এরপর শ্বাশত আরও বলেন, ‘ তখনকার বাংলা ছবির প্রযোজকরা বাঙালি ছিলেন। এখন আমি কাকে বোঝাব যে আশাপূর্ণা দেবী কে? সে কী বুঝবে? বাংলার ইমোশন বোঝাতে পারব? সে রাজি হবে কেন? ছুঁড়ে ফেলে দেবে।’ শ্বাশত চট্টোপাধ্যায় যে এই বক্তব্যে কাদের ইঙ্গিত করেছেন সেটা যদিও কারও বুঝতে আর বাকি নেই!