নিউজশর্ট ডেস্কঃ ৯ই অগাস্ট রাতে আরজি কর হাসপাতালে ঘটে যাওয়া ঘটনার প্রকাশ্যে আসতেই ক্ষুদ্ধ চিকিৎসক থেকে আমজনতা। তিলোত্তমার বিচার চেয়ে প্রতিদিনই প্রতিবাদে রাস্তায় নামছেন হাজারো মানুষ। সঠিক বিচার আর শাস্তি চাই। হাসপাতালে একজন কর্মরত চিকিৎসক যদি না সুরক্ষিত থাকেন তাহলে কিভাবে মেয়েরা নিজেদের নিরাপদ মনে করবে বাংলায়? আজ ২৯ দিন হল ঘটনার, বিচারের অপেক্ষায় গোটা বাংলার মানুষ তথা দেশবাসী। তবে এরই মধ্যে আরেক ধর্ষণের মামলায় দোষীকে মৃত্যুদন্ড দিল আদালত।
ঠিকই দেখছেন, শিলিগুড়িতে এক নাবাকিলাকে ধর্ষণ ও খুন করা হয়েছিল। ২১শে অগাস্ট ২০২৩ সালে মাটিগাড়ায় জঙ্গলে নৃশংস অত্যাচারের পর ইঁট দিয়ে থেঁতলে দেওয়া হয়েছিল মুখ। আজ একবছর পর শিলিগুড়ি আদালতের বিচারক অনিতা মেহেত্রা মাথুর অভিযুক্ত মহম্মদ আব্বাসকে ফাঁসির সাজা শোনাল।
মৃতার পক্ষের আইনজীবী জানান, আজ একবছর ১৪ দিনের মাথায় সাজা ঘোষণা হল। খুব গুরুত্ব দিয়ে আদালতে বোঝানোর চেষ্টা করেছি যে এটা আর পাঁচটা মামলার তুলনায় আলাদা। দোষীর ফাঁসি হওয়াই উচিত, স্টেই হয়েছে। একইসাথে মৃতার পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের আদেশ দোয়া হয়েছে আদালতের তরফ থেকে। যদিও ফাঁসির শাস্তি যাতে না হয় তার জন্য দোষীর আইনজীবী বলেন, মক্কেলের বাড়িতে বয়স্ক মা আছেম পরিবার আছে। তাদের মুখ চেয়ে ফাঁসি রদ করা হোক। তবে সেটা আর হয়নি।
এদিন আদালতের রায় শোনার পর নাবালিকার মা জানান, ‘আদালতের রায়ে আমার খুশি। আমার মেয়ে শান্তি পাবে। ওই লোকটার (দোষী) বাড়িতে দুই স্ত্রী সন্তান আছে। তাও কিভাবে এমন একটা জঘন্য কাজ করতে পারে! ওর ফাঁসিই হওয়া উচিত।’ এদিন মৃত নাবালিকার পাশাপাশি প্রতিবেশীরাও হাজির হয়েছিলেন শিলিগুড়ি মহকুমাদেওয়ানী ও ফৌজদারী আদালতে।
আরও পড়ুনঃ ‘মেকআপ করানোর নামে পিঠে বুকে হাত,’ রুপটান শিল্পীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক টেলি অভিনেত্রী
প্রসঙ্গত, গতবছর ২২ অগাস্ট শিলিগুড়ির মাটিগাড়ায় স্কুল থেকে ফেরার পথে নিখোঁজ হয় একাদশ শ্রেণীর ওই নাবালিকা। এরপর জঙ্গলের এক পরিত্যক্ত ঘর থেকে রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। ময়নাতদন্তের পর পুলিশ জানতে পারে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। ধর্ষণের চেষ্টা করলে মেয়েটির চিৎকারে আশপাশের লোক ছুতে এলে দেখতে পায় মুখ থেঁতলানো অবস্থায় পরে আছে মেয়েটি। এরপর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই তাঁর মৃত্যু হয়।