আমাদের সৃষ্টি প্রকৃতির কোলেই। আমরা জন্মিও এইখানে, আবার মৃত্যুর পর এখানেই মাটির সাথে মিশে যাই। বেঁচে থাকাকালীন সারা জীবন আমরা প্রকৃতি থেকে কত কিছুই না নিয়ে থাকি, যেমন খাদ্য, বাসস্থান জল, এবং সর্বোপরি প্রাণবায়ু অক্সিজেন। তাই ভারতীয় সংস্কৃতিকে প্রকৃতিকে মা বলে ডাকা হয়েছে, আর মাতৃভূমি বলা হয় এই দেশকে। তাই মাতৃভূমিকে যদি আমরা নিরাপদ না রাখতে পারি, তাহলে আমরা, তার সন্তান সন্ততিরা প্রভূত বিপদে পড়তে পারি। প্রকৃতি ধ্বংস হলে, ধ্বংস হয়ে যাবো আমরাও। তাই আমাদের নিজেদের রক্ষার স্বার্থে প্রকৃতিকে রক্ষা করা প্রয়োজন। আর এই কাজ করতে পারে গাছ, এছাড়া গাছ যে শুধুমাত্র আমাদের অক্সিজেন দে তা তো নয়, বাড়ির শোভাবর্ধও করে। গতকাল ৫ ই জুন ছিল বিশ্ব পরিবেশ দিবস। এই উপলক্ষ্যে আজ আমরা এমন কিছু মানুষের সাথে পরিচয় করাতে চলেছি যারা সুপারস্টার তো বটেই, তারসাথে ভালো মানুষও হয়ে উঠতে পেরেছেন। প্রসঙ্গত এই তারকারা দক্ষিণ ভারতের সবচেয়ে বড় অভিনেতা।
১) প্রভাসঃ- বাহুবলী তারকা প্রভাস হায়দ্রাবাদের কাছে খাজিপল্লি রিজার্ভ ফরেস্টে মোট ১৬৫০ একর জমি ‘দত্তক’ নিয়েছেন এবং এই জায়গার উন্নয়নের জন্য ইতিমধ্যেই কর্তৃপক্ষকে ২ কোটি টাকার চেকও দিয়েছেন। প্রসঙ্গত খাজিপল্লীর সংরক্ষিত জঙ্গলে প্রচুর পরিমাণে ঔষধি গাছ পাওয়া যায়।
২) আল্লু অর্জুনঃ-অভিনয় তো বটেই, এরই পাশাপাশি আল্লু অর্জুন তার পরিবেশগত সচেতনতার জন্যও বেশ পরিচিত। তিনি বহুবার গাছ লাগানোর পরিকল্পনা করেছেন। এছাড়া জানা যায় যে, তার অফিস থেকে বাড়ি সব জায়গাতেই সবুজের আধিক্য বড্ড বেশি চোখে পড়ে। তিনি প্রায় সব জায়গাতেই গাছ লাগাতে পছন্দ করেন। এমনকি ছবির প্রচারেও তিনি গাছ লাগানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন।
৩) জুনিয়র এনটিআরঃ- জনপ্রিয় তেলেগু চলচ্চিত্র তারকা জুনিয়র এনটিআরকে প্রায়শই দেখা যায় যে তিনি পরিবেশ রক্ষার বিষয়ে মানুষকে সচেতন করছেন। এ ছাড়া তিনি সবসময়ই পরিবেশের কাছাকাছি থাকতে চান। জানা যাচ্ছে যে, শংকরপল্লীতে সাড়ে ছয় একর জমি কিনেছেন এনটিআর, সেখানে তার জৈব চাষ শুরু করার পরিকল্পনা করেছেন।
8) রাম চরণ তেজাঃ- অভিনেতা রাম চরণ বহু বছর ধরে পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির (Renewable Energy) সমাধান সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করে চলেছেন। এক অনুষ্ঠানে অভিনেতা মানুষকে সচেতন করার সময় বলেছিলেন যে ‘আমাদের বিকল্প জীবনধারা সম্পর্কে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য একসাথে ঐক্যবদ্ধ হওয়া উচিত, যাতে আমাদের প্রাকৃতিক সম্পদের আর ক্ষয় না হয়।’