নিউজশর্ট ডেস্কঃ কাঞ্চন মল্লিক আর শ্রীময়ী চট্টরাজ (Kanchan Mallick-Sreemoyee Chattoraj) জুটির বিয়ের স্মৃতি এখনও সকলেরই টাটকা। রাজকীয় আয়োজনে হয়েছিল বিয়েতে, সাথে বিতর্ক থাকলেও তা এখন অতীত! আজ ১২ই জুন ছিল শ্রীময়ীর সাথে কাঞ্চনের প্রথম জামাইষষ্ঠী (Jamai Sasthi)। তাই জামাইকে খাওয়াতে লুচি, ছোলার ডাল, কাতলা মাছের মাথা থেকে শেষ পাটের পায়েস, দই মিষ্টান্ন দিয়ে এলাহী ভোজের আয়োজন করেছিলেন শাশুড়ি মা।
শুধুই খাওয়াদাওয়া নয়, অভিনেত্রীর বাড়িতে রয়েছে বেশকিছু রীতিনীতিও। যেমন জামাইকে কাঁঠাল পাতায় খেতে দিতে হয় পাঁচ ফল, নতুন ন্যামাকাপড় দেওয়া তো আছেই, সাথে হাতে বাঁধতে হয় হলুদ সুতো। এরপর জামাইকে পাখার বাতাস করতে করে ‘ষাট ষাট ষাট’ বলেন শাশুড়ি। তবে এমন একটা খুশির দিনেও স্বামী কাঞ্চনের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ শোনা গেল শ্রীময়ীর মুখ থেকে।
উপহার পেতে বড়ই ভালোবাসেন তিনি, তাই সামান্য হলেও উপহার দিয়ে নিয়মিত চমক পাওয়ার ইচ্ছা রয়েছে তাঁর। কিন্তু বরমশাই সে সবটাই ভুলে মেরে দেন! জন্মদিন হোক বা বিশেষ কোনো দিন কিছুই মনে রাখতে পারেন না কাঞ্চন, এমনটাই অভিযোগ করলেন অভিনেত্রী। অবশ্য মা-বাবাকে শাড়ি কিনে দিতে কিন্তু মোটেই ভোলেননি কাঞ্চন। তিনি জানান, ‘বয়স যতই বাড়বে, উপহার দেওয়ার মানুষ ততই কমবে। তাই জামাইষষ্ঠীর দিন শ্বশুর-শাশুড়িকে উপহার দেওয়া দরকার’।
আরও পড়ুনঃ একাধিক প্রেমে ক্ষতি নেই, দ্বিতীয় বিয়েতেই দোষ? সমাজকে প্রশ্ন ‘শুভ বিবাহ’র নায়ক হানি বাফনার
এরপর শ্রীময়ী অভিযোগ করেন, বিয়ের পর কয়েকমাস কেটে গেলেও মধুচন্দ্রিমা এখনও হয়নি। খালি কাজ আর কাজই করে যাচ্ছে। তাই অল্প কিছুদিনের মধ্যেই নাকি একাকিত্বে ভুগছেন অভিনেত্রী। এমনকি মজার চলে শ্রীময়ী বলে বসেন, এভাবে চললে বিচ্ছেদের বিষয়েও নাকি ভাবতে পারেন তিনি। যদিও এই অভিযোগ আসা মাত্রই কাঞ্চন বলতে শুরু করেন, ‘তুমি আমার মধু, আকাশে আছে চাঁদ, এখানেই মধুচন্দ্রিমা’।
এদিনের খাওয়া দাওয়া পর্বও ছিল দেখার মত। একদিকে যেমন শাশুড়ি মা নিজের হাতে খাইয়ে দিয়েছেন পোলাও তেমনি শ্রীময়ীও নিজের হাতে মাছের মাথা খাইয়েছেন কাঞ্চনকে। অবশ্য এরপর অভিনেতাও নিজে স্বযত্নে পোলাও খাইয়েছেন শ্রীময়ীকে।