লক্ষ ভক্তকে কাঁদিয়ে অবশেষে দিকপাড়ের উদ্দেশ্যে পাড়ি জমালেন অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা। সদ্য প্রস্ফুটিত ফুলের মতোই মিষ্টি ছিল তার হাসি, রূপ ছিল রজনীগন্ধার মতোই স্নিগ্ধ। ক্যান্সারের সঙ্গে যুদ্ধ করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পড়েন ‘ফাইটার’ ঐন্দ্রিলা। একের পর এক রোগের মারণ কামড়ের পর হেরে গেলেন জীবনের শেষ যুদ্ধে। তবে জীবনের রঙ্গমঞ্চ থেকে বিদায় নিলেও তাঁর এইসব কাজের মধ্যেই বেঁচে থাকবেন তিনি।
ঝুমুর (Jhumur) : ২০১৭ সালে অভিনেত্রী সফর শুরু হয় ঐন্দ্রিলার। ‘ঝুমুর’ নামক একটি সিরিয়ালের হাত ধরে শুরু হয় কেরিয়ার। আর এই ধারাবাহিকের শুটিংয়েই দেখা হয় সব্যসাচীর সঙ্গে।
জীবন জ্যোতি (Jibon Jyoti) : স্টার জলসার এই ধারাবাহিকে একজন মার্শালার্টিস্টের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন ঐন্দ্রিলা। যে তার স্বামীকে সব বিপদ থেকে রক্ষা করার প্রতিজ্ঞা করে।
জিয়ন কাঠি (Jiyon Kathi) : ২০১৯ থেকে ২১ পর্যন্ত, অর্থাৎ টানা ২ বছর ধরে সম্প্রচারিত হয়েছিল ধারাবাহিকটি। সেইসময় ‘জিয়ন কাঠি’র তুলি হয় উঠেছিল বাঙালির ঘরের মেয়ে। ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল এই সিরিয়ালটি।
আমি দিদি নম্বর ১ (Ami Didi No. 1) : খুব অল্প সময়ের মধ্যেই একগুচ্ছ প্রোজেক্টে কাজ করেছিলেন ঐন্দ্রিলা। ২০২০ সালে বড়পর্দায় হাতেখড়ি হয়েছিল তাঁর। ‘আমি দিদি নম্বর ১’ এটিই ছিল তাঁর ডেবিউ ছবি। ‘মিঠাই’-র সিডের বিপরীতে দেখা গিয়েছিল তাকে।
লাভ ক্যাফে (Love Cafe) : এরপর তার হাতে আসে ‘লাভ ক্যাফে’ ছবির অফার। এই ছবিতে হৃতজিৎ মুখার্জির সঙ্গে জুটি বেঁধেছিলেন ঐন্দ্রিলা।
ভাগাড় (Bhagar) : ঐন্দ্রিলার সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত প্রোজেক্ট ছিল ‘ভাগাড়’। এতে তিনি আর সব্যসাচী একসাথে অভিনয় করেছিলেন। এই কারণেই বড্ডো বেশিই স্পেশাল ছিল এই সিরিজটি।
এগুলি ছাড়াও আরো একটি ছবির অফার ছিল ঐন্দ্রিলার হাতে। সেটার জন্য গোয়ায় গিয়ে শুটিং শুরু করার কথাও ছিল। কিন্তু নিয়তি যে অন্য কিছুই লিখে রেখেছিল ঐন্দ্রিলার জন্য। তার আগেই ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। ২০ দিনের লড়াইয়ের পর অবশেষে হার মেনে নেন অভিনেত্রী।