গত সপ্তাহেই বেঙ্গল টপারের খেতাব ছিনিয়ে নিয়েছিল লালন-ফুলঝুরির ‘ধূলোকণা’ (Dhulokona)। পাশাপাশি টিআরপি (TRP) পয়েন্টও ছিল দেখার মতো। এক ধাক্কায় অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছিল স্টার জলসা। শুনতে হাস্যকর লাগলেও লিপস্টিক দিয়ে বিয়ে দেখিয়ে ভালোই দর্শক টেনেছে ধারাবাহিকটি। তবে এক জিনিস আর কতদিনই বা চলবে! সম্প্রতি এই ধারাবাহিকের ওপর যথেষ্ট বিরক্ত হয়ে গেছে দর্শকরা।
আসলে লীনা গাঙ্গুলী গল্পটাকে যেভাবে বিয়ে কেন্দ্রীক করে ফেলেছেন তাতে বিরক্ত হওয়াটাই স্বাভাবিক। এইমুহুর্তে যা দেখানো হচ্ছে তাতে সেই গল্পে গরু গাছে চড়ার মত অবস্থা। আর এতেই ‘ধূলোকণা’র প্রতি বিরক্ত হয়েছে দর্শকরা। ফুলঝুরি-তিতির দু’জনের প্রতিই লালনের দুর্বলতা একেবারেই ভালোলাগছে না তাদের।
যারা এই ধারাবাহিকটির নিয়মিত দর্শক তারা তো জানেনই যে, এখন লালনের স্মৃতি ফিরে এসেছে এবং ফুলঝুরিকে চিনতেও পেরেছে সে। তবুও তিতিরের প্রতি টানটাকে অস্বীকার করতে পারছেনা। ফুলঝুরিকে কাছে পেলেও তিতিরের জন্য লালনের এখন মন কেমন করছে। এখন সে তিতির-ফুলঝুরি দুজনের সাথেই থাকতে যায়। যা কিনা একেবারেই অবাস্তব।
দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর স্বামী কাছে এসেও যেন দূরে। লালনের এই ব্যবহারে যথেষ্ট মনকষ্টে রয়েছে ফুলঝুরি। পাশাপাশি রুষ্ট হয়েছে দর্শকরাও। প্রতিটা ধারাবাহিকেই এরকম পরকীয়ার গল্প দেখানোর জন্য কার্যত লীনাকে তুলোধুনো করছে সবাই। তারমধ্যেই যে নতুন প্রোমো দেখানো হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে, খুব শীঘ্রই নাকি ডিভোর্সের ট্র্যাক দেখানো হবে এই ধারাবাহিকে।
অর্থাৎ এতো ঝামেলার পর আবারও সেই থোড় বড়ি খাড়া আর খাড়া বড়ি থোড়। অনেকেই বলছেন, লেখিকার মতিভ্রম হয়েছে যার কারণে যা ইচ্ছে লিখে যাচ্ছেন। স্মৃতিভ্রষ্ট হয়ে লালনের মাথাটাকেই খারাপ করে দিয়েছেন লেখিকা লীনা গাঙ্গুলী। দিন দিন লালন আর ফুলঝুরির সম্পর্কে যে পরিমাণ তিক্ততা চলে এসেছে তা একেবারেই না-পসন্দ দর্শকদের।
আর এরমধ্যেই আবার খবর মিলেছে যে, খুব শীঘ্রই নাকি ধারাবাহিকে এন্ট্রি হবে ফুলঝুরির নতুন প্রেমিকের। দর্শকদের দাবি, লালনকে শায়েস্তা করতে অঙ্কুরের চরিত্রটি অর্থাৎ তথাগত মুখার্জিকে আবার ‘ধূলোকণা’য় ফিরিয়ে আনা হোক। তবেই নিজের বৌয়ের গুরুত্ব বুঝতে পারবে লালন। যদিও লীনা গাঙ্গুলী ভক্তদের এই দাবি শুনবেন কি না তা তো সময়ই বলবে।
