নিউজশর্ট ডেস্কঃ এই পৃথিবীর প্রত্যেকটি নাগরিককে এক দেশ থেকে অন্য দেশে যাওয়ার জন্য পাসপোর্ট(Passport) সঙ্গে রাখতে হয়। এই তালিকায় রাষ্ট্রপতি থেকে প্রধানমন্ত্রী সকলেই রয়েছেন। প্রায় ১০২ বছর আগে বিশ্বে এই পাসপোর্ট ব্যবস্থা চালু হয়েছিল। তবে আপনারা কি জানেন এই বিশ্বে এমন তিনজন রয়েছেন যাদের কখনো কোথাও যাওয়ার জন্য পাসপোর্ট বা ভিসার প্রয়োজন হয় না।
তারা যদি বিদেশেও যান তখনও তাদের কাছ থেকে পাসপোর্টের ব্যাপারে কিছু জানতে চাওয়া হয় না। কিন্তু তবুও তাদেরকে সম্মান দেওয়া হয়। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় থেকে প্রত্যেকটি দেশে পাসপোর্টের গুরুত্ব দেখা যায়। অবৈধ নাগরিকদের দেশের প্রবেশ ঠেকানোর জন্য বিশ্বজুড়ে পাসপোর্টের মত ব্যবস্থা গড়ে তোলার উদ্যোগ নেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আর বর্তমানে এই পাসপোর্ট একটি গুরুত্বপূর্ণ অফিসিয়াল পরিচয়পত্র হিসেবে গণ্য হয়।
এই পাসপোর্টে ব্যক্তির নাম, ঠিকানা, বয়স, নাগরিকত্ব, ছবি এবং স্বাক্ষর থাকে। তিনি যেই দেশেই যাচ্ছেন সেই দেশের পরিচয় জানার জন্য একটি সহজ উপায় হলো এই পাসপোর্ট। এখন সব দেশই ই-পাসপোর্ট ইস্যু করা হয়। তবে তিনজন মানুষ হয়েছেন যাদেরকে কোন পাসপোর্ট কখনো চাওয়া হয়নি। পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে ভ্রমণের জন্য তাদের কোন পাসপোর্টের প্রয়োজন হয় না।
আরও পড়ুন: LIC: ১১ লক্ষ টাকা পাবেন, রোজ রাখুন মাত্র ৮৭ টাকা, LIC-র এই পলিসিতে পাবেন অনেক বেনিফিট
এবার প্রশ্ন হল এই তিনজন বিশেষ ব্যক্তি কারা? এই তিনজন বিশেষ ব্যক্তি হলেন ব্রিটেনের রাজা, জাপানের রাজা এবং রানী। রাজা হওয়ার আগে প্রয়াত রানী এলিজাবেদের কাছে এই বিশেষ সুবিধা ছিল। ব্রিটেনে প্রথম সম্মান রাজ সিংহাসনে উপবিষ্ট ব্যক্তিকে দেওয়া হয়। কিন্তু রানীর স্বামীকে রাজপুত্র বলা হয়ে থাকত। এরপর রাজা চার্লস ব্রিটিশ রাজ পরিবারের প্রধান তাই তাকে পূর্ণ সম্মানের জন্য যে কোন দেশে যেতে দেওয়া উচিত। এক্ষেত্রে যেন কোন রকমের বাধা না আসে। তাই ব্রিটিশ রাজার ক্ষেত্রে এই অধিকার থাকলেও তার স্ত্রীর ক্ষেত্রে অধিকার নেই। তার স্ত্রী অন্য দেশে যাওয়ার সময় কনস্যুলার পাসপোর্ট সঙ্গে নিয়ে যান। এইভাবেই রাজ পরিবারের সমস্ত সদস্যকেই কূটনৈতিক পাসপোর্ট সঙ্গে রাখতে হয়।
আর জাপানের রাজা এবং রানীকে কেন বেশি সম্মান দেওয়া হয়? জাপানের বর্তমান রাজা হলেন নারুহিত। তার স্ত্রী মাসাকো ওয়াটা জাপানের সম্রাজ্ঞী ছিলেন। তার পিতা আকিহিত পদত্যাগ করার পর তিনি রানীর পদ গ্রহণ করেন। যতদিন তার বাবার জাপানের রাজা ছিলেন। ততদিন তার এবং তার স্ত্রীয়ের পাসপোর্ট রাখার প্রয়োজন ছিল না। কিন্তু এই পদ পরিবর্তনের পর যে কোন বিদেশ ভ্রমণের সময় এখন তাদের কনস্যুলার পাসপোর্ট নিতে হয়। জাপানে এই বিশেষ সুবিধা ১৯৭১ সালে তাদের সম্রাট এবং সম্রাজ্ঞীদের জন্য চালু করা হয়। তবে এই তিনজন ছাড়া বিশ্বের সমস্ত প্রধানমন্ত্রী এবং প্রেসিডেন্টকে এক দেশ থেকে অন্য দেশে যাওয়ার জন্য অবশ্যই পাসপোর্ট বহন করতে হয়।